সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / লাইটপোস্টে ওয়াই–ফাই হটস্পট দেওয়ার ভাবনা

লাইটপোস্টে ওয়াই–ফাই হটস্পট দেওয়ার ভাবনা

নিউইয়র্কের লাইটপোস্টগুলোকে ওয়াই–ফাই হটস্পটে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়েছে নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক নগরের পাঁচটি বরোতে ইন্টারনেট প্রসার বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ।

নিউইয়র্ক নগরে একসময় বহু ফোনবুথ ছিল। এই ফোন বুথগুলো বর্তমানে ওয়াই–ফাই ও ফোন চার্জিং বুথ হিসেবে কাজ করছে। ঠিক একই পন্থায় ইন্টারনেট প্রসার বাড়াতে লাইটপোস্টগুলোকে ওয়াই–ফাই হটস্পটে রূপান্তর করতে চাইছে নগর কর্তৃপক্ষ।

তবে এসব লাইটপোস্ট থেকে সরবরাহ করা ওয়াই–ফাই সুবিধা বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আর যদি এই সুবিধার বিপরীতে কোনো ফি ধার্য করা হয়, তবে তা ঠিক কী পরিমাণ হতে পারে, সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা এখন পর্যন্ত দেয়নি নগর কর্তৃপক্ষ। তবে ঘটনা যা-ই হোক না কেন, এই বিশেষ সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে করদাতাদের পকেটের দিকেই নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে।

নগর কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের উল্লেখ করে পত্রিকাটি জানায়, এই পরিকল্পনা এখনো বিবেচনাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এর সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। কিন্তু মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এই প্রকল্পকে ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটি তাঁর গৃহীত সবার জন্য ‘সহজলভ্য, নির্ভরযোগ্য ও উচ্চগতি’র ইন্টারনেট সেবা চালুর উদ্যোগের একটি অংশ। সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী সবার জন্য এই বিশেষ সেবা ২০২৫ সালের মধ্যে নিশ্চিত করতে চান তিনি। এই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখলে নগর কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।

সিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র কেট ব্লামন বলেন, ‘নগরের গণ–অবকাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের একটি হচ্ছে লাইটপোস্ট। এই অবিচ্ছেদ্য অংশটিকে একুশ শতকের একটি শহরের জন্য আরও কার্যকর কীভাবে করা যায়, তাই এখন আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

নিউইয়র্ক নগরের পাঁচটি বরোতে সব মিলিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার লাইটপোস্ট রয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০০টি পিলার ব্যবহার করছে বেসরকারি বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানি। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা সম্প্রসারণের জন্যই এই পিলারগুলো ব্যবহার করছে কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনের কিছু লাইটপোস্ট এরই মধ্যে বিনা মূল্যের ওয়াই–ফাই সেবা দিতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা অনেক ক্ষুদ্র পরিসরে হচ্ছে। এই সেবাকেই আরও সম্প্রসারণ করা জরুরি। এই খাত থেকে নগর কর্তৃপক্ষ চাইলে আয়ও করতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবহৃত পিলারগুলো বাবদ নগর কর্তৃপক্ষকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে। ফলে সব পিলারকে ওয়াই–ফাই সুবিধার আওতায় আনা হলে সেখান থেকেও নগর কর্তৃপক্ষ চাইলে আয় করতে পারে।

তবে এই পরিকল্পনার পথে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে ফেডারেল আইন। কারণ, ফেডারেল যোগাযোগ কমিশনের প্রস্তাবে লাইটপোস্টগুলো ব্যবহার এবং এসবের ওপর নগর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ সীমিতকরণের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব পিলার ব্যবহার বাবদ বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে সর্বোচ্চ কত পরিমাণ অর্থ নেওয়া যাবে, তা নিয়েও একটি বাধ্যবাধকতা আরোপের কথা বলা হয়েছে এতে।

তবে তারপরও নগর কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনার বিষয়ে আশাবাদী। তাদের মতে, লাইটপোস্টগুলোকে ওয়াই–ফাই হটস্পটে রূপান্তর করা গেলে, তা স্পেকট্রাম ও অপটিমামের মতো ইন্টারনেট কেব্‌ল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ভালো প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এসব পিলার থেকে এমনকি সর্বাধুনিক ফাইভ–জি প্রযুক্তির সেবাও দেওয়া সম্ভব, যা এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজনের মতো প্রতিষ্ঠানকে হটিয়ে দিতেও সক্ষম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মেয়র ডি ব্লাজিও ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে ভেরাইজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে বিশেষভাবে আগ্রহী। কারণ, ২০১৩ সালেই ব্লাজিও নিম্ন আয়ের মানুষদের ইন্টারনেট সেবার বাইরে রাখার জন্য ভেরাইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তারপর এই বিষয়ে তিনি একাধিকবার বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। গত বছর সব বাড়িতে স্বল্প মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে ভেরাইজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ক মামলাটির নিষ্পত্তি এখনো হয়নি।
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/Khorshida-Jannat-Sagar-14-5-224.jpeg

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফাহমিদা বেগমের সাথে ঈদগাহ হাই স্কুল প্রধান শিক্ষকের সাক্ষাৎ 

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগমের সাথে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/