মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
বান্দরবানের লামার ফাইতং ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ব্যাপক হারে চলছে পাহাড় কাটা। ব্রিকফিল্ডের মাটি সংগ্রহ ও নতুন ব্রিকফিল্ড করতে এই পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও নেই টেকসই কোন উদ্যোগ।
সরকারী হিসাব মতে উপজেলায় ৩১টি অনুমোদনহীন অবৈধ ব্রিকফিল্ড রয়েছে। যার মধ্যে একটিরও বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। ফাইতং ইউনিয়নে ২৪ টি ব্রিকফিল্ড ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৩টি ব্রিকফিল্ড থাকা সত্ত্বেও নতুন করে কিভাবে আরো ব্রিকফিল্ড স্থাপন হয়, এই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় পরিবেশবাদী মানুষকে।
সরজমিনে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাঠাঁলছড়া ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বড় বড় ৪/৫টি পাহাড় কেটে নতুন করে ২টি ব্রিকফিল্ড স্থাপন হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার জনৈক পিয়ারু ও মো. ফরিদ নামে দুইটি সিন্ডিকেট এই ব্রিকফিল্ড স্থাপনে পাহাড় কাটছে। স্থানীয়রা বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে সোমবার সকালে উপজেলাস্থ ফাইতং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ ও মওজুদ করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর-এ জান্নাত রুমি। এসময় পাহাড় কর্তনে পরিবেশের ক্ষতি সাধনের কারনে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬/খ ধারায়’ দুই ব্যক্তিকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা আদায়কৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. মহিউদ্দিন (৪২) পিতা- আবুল হোসেন সিকদার, গ্রাম- লম্বাশিয়া ফাইতং ইউনিয়ন ও মোক্তার আহমদ (৫০) পিতা- আব্দুস সালাম, গ্রাম- হরিণ খাইয়া পাড়া, ফাইতং, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকলকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন যথাযথ পরিপালনের নির্দেশ প্রদান করেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে পাহাড় কাটার কূফল ব্যাখ্যা করেন।
You must be logged in to post a comment.