নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে একদল যুবকের হামলার শিকার হয়েছেন পাঁচ সাংবাদিক। এর আগে মিছিলে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, হামলাকারীরা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
৫ আগস্ট রবিবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকরা আক্রোশের শিকার হন।
মারধরে আহত সাংবাদিকরা হলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এএম আহাদ, জনকণ্ঠের জাওয়াদ, বণিক বার্তার পলাশ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জুমা প্রেসের রিমন, দৈনিক নয়াদিগন্তের শরীফ, ফ্রিল্যান্সার রাহাত ও পাঠশালা দক্ষিণ এশীয় মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ফটোগ্রাফি শিক্ষার্থী এনামুল হাসান।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে বেলা ১১টার পর থেকেই শাহবাগ এলাকায় জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েন্স ল্যাব হয়ে জিগাতলার দিকে যান। পিলখানা পার হয়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা বাধা না মেনে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
দুপুর ২টার দিকে ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কে হেলমেট পরে হকিস্টিক, রড, রামদা নিয়ে হামলা করে একদল যুবক। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের পপুলার মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেছেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ওই যুবকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
বেলা ৪টার পর সায়েন্স ল্যাব, জিগাতলা, শাহবাগ এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। কিন্ত শাহবাগ মোড়ে, সায়েন্স ল্যাব ওভার ব্রিজের নিচে ও জিগাতলা এলাকায় পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। মোটরসাইকেল যুবকদের মহড়া দিতেও দেখা যায়।
সূত্র:জনি রায়হান-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.