অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে যে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হচ্ছে তা বাইরের দেশে পাচারের মাধ্যমে বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সিম নিবন্ধনে ব্যবহত ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে যে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হচ্ছে তা বাইরের দেশে পাচারের মাধ্যমে বেহাত হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশে এই প্রকল্প শুরু হয়নি যুক্তিতে দেশে আঙ্গলের ছাপে সিম রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি বাতিল করতে বলা হয়েছে।
মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করলেও অনেক অনলাইনে এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা গেছে। এসব দেখে মুখ খুলেছেন স্বয়ং টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি এ বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
‘দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ও কিছু কথা’ শিরোনামে তারানা হালিক লিখেছেন,
১ আঙুলের ছাপ NID তেও আছে, ছিলো আগের সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফর্মেও এবং এইগুলো সকল অপারেটরদের কাছেও ছিলো। এখন কোন সিম কার সেই নিয়ম মেনে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ ভেরিফিকেশন করতে আপনাদের ভয় কিসের? সন্ত্রাসী এবং অপরাধী ছাড়া এই পদ্ধতিতে ভয় পাবার কথা না।
২ আপনার সিমের মালিক যে আপনি সেই জন্যই NID এর ডাটাবেইসের সাথে এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার আঙুলের ছাপটি মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিম কিনলে আপনি সিমের মালিকানা কেন স্বীকার করবেন না?
এই পদ্ধতি বাংলাদশের সকল নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সকল নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য হতো না।
যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই ডাটাবেইসে প্রবেশ করতে পারবে। যা ইতোমধ্যে আপনার NID তেও আছে। এখন শুধু এই আঙুলের ছাপের সাথে আপনারটা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ১টি NID এর বিপরীতে পূর্বে যেমন ৬০ হাজার বা এর অধিক সিম পাওয়া গেছে সেটা এড়াতেই এখনকার এই বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।
সুতরাং দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা সকলে এই পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন করুন। কোন মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনারা আমাদের জনগণ, আমরা আপনাদের জন প্রতিনিধি, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
এ বিষয়ে জানতে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রিয়.কমকে বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই ডেটাবেইজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্পর্শকাতর বিষয় বলে এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি হিসাবনিকাশ শেষ করে অপারেটরদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। তারা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া আঙ্গুলের ছাপ ভেরিফিকেশন করছে; কোন ছাপ স্টোর করছে না।
সূত্র: প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.