সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / সেনা পদোন্নতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

সেনা পদোন্নতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

Shekh Hasina

সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা ও পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহবান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই সেনাবাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।’

সেনা সদস্যদের ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন,‘দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনা সদস্যদের ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী সুনাম পেয়েছে। দেশের যে কোনো সঙ্কটময় মুহূর্তে সেনাবাহিনী সর্বদা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে।’

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দক্ষ পরিকল্পনায় মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে এ অভিযান সম্পন্ন করায় আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শীর্ষ সেনা প্রেরণকারী দেশ, যা পুরো জাতির জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনছে। আমাদের সৈনিকদের শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও কর্তব্যবোধে দৃঢ় মনোভাব বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী- এমন যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে। আপনাদেরকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার বিশ্লেষণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনারা যোগ্য ব্যক্তিকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করছেন। পদোন্নতি প্রদানের সময় আপনাদের কতিপয় বিষয় বিশেষ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। সেগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্ব, পেশাগত দক্ষতা, মাঠের তত্পরতা বিচার, শৃঙ্খলা, সততা-বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য, নিযুক্তিগত উপযোগিতা এবং গ্রহণযোগ্যতা।’

সেনাবাহিনীর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তার ধারাবাহিকতা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে অব্যাহত ছিল এবং আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনাবাহিনীকে আরও কার্যক্ষম ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন পদাতিক ডিভিশন ও ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোরের আধুনিকায়নের জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা হয়। বর্তমান সরকারের আমলে সেনাবাহিনীর সকল পর্যায়ে প্রশিক্ষণের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।’

বান্দরবানের রুমায় পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাসের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া, কক্সবাজারের রামুতে সেনানিবাস স্থাপনের কাজ শুরু, নবগঠিত কম্পোজিট ব্রিগেডের আবাসনের লক্ষ্যে পদ্মা সেতুর দুই পাশে সেনানিবাস গড়ার প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সূত্র:deshebideshe.com ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

৩ মে; ইতিহাসের এইদিনে; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/ezequiel-lavezzi-sports-birth-day/

৩ মে; ইতিহাসের এইদিনে

ইজেকিয়েল ইভান লাভেজ্জি। আজেন্টিনীয় ফুটবলার যিনি সিরি এ’র দল পারি সাঁ-জের্‌মাঁ এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/