নিজস্ব প্রতিনিধি; কক্সভিউ :
কক্সবাজার শহরের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে অর্ধশত মাদার ট্রি কর্তন করা হয়েছে। এতে শহরের শ্রীহানি হয়েছে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এসব গাছের বয়স হয়েছে ৩০ বছরের বেশি। কক্সবাজার শহরের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সড়কে পাশে অবস্থিত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেড় শতাধিক গাছ রয়েছে। গত ৩ দিন ধরে গাছ কাটা হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত গাছ কাটা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে মাদার ট্রি। এসব গাছের বয়স ৩০ বছরের বেশি হবে। গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, এটা দু:খজনক ঘটনা। শহরের কয়েকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মধ্যে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় অন্যতম। বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ থাকার কারনে শুধু সংশ্লিষ্ট কার্যালয় নয় সৌন্দর্যময় হয়ে উঠে পুরো শহর। কিন্তু হঠাৎ এ কার্যালয়ের গাছ কেটে ফেলার কারনে সৌন্দর্যহানী হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
গাছ কাটার অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) হুমায়ুন কবির জানান, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে গাছ কাটার ব্যাপারে অনুমতি নেয়ার আবেদন করা হয়নি। আর গাছ কাটার বিষয়টি জানা নেই। তিনি বলেন, গাছ কাটার জন্য যথাযথ কারন দেখিয়ে অনুমতি নিতে হবে। এর পর আইন অনুযায়ী গাছ কাটার আগে দরপত্র দিতে হবে। দরপত্র কমিটিতে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি রাখা প্রয়োজন। এছাড়া আরো কিছু বিধিমালা মেনে গাছ কর্তন হয়।
গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার জানান, মৃতপ্রায় কিছু গাছ রয়েছে। আর কিছু গাছের কারনে অফিস ভবনের ক্ষতি হচ্ছে। এরকম হেলে পড়া, ভেঙ্গে যাওয়া এবং মৃতপ্রায় কিছু সংখ্যক গাছ কাটা হচ্ছে। সেখানে পুনরায় গাছ রোপন করা হবে। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপনের মাধ্যমে এলাকাটি সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে।
You must be logged in to post a comment.