এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজার সহ পার্শ্ববতী উপ-বাজার সমূহে নিত্য প্রয়োজনীয় তরী-তরকারীর দাম দ্বিগুণ আকারে পরিণত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ক্ষেত খামারে তরকারীর ফলনে ব্যাপক বিপর্যয় হওয়ায় এদিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চাহিদা থাকা সত্বেও নিত্য প্রয়োজনীয় তরি-তরকারী আসতে না পারায় বিক্রেতারা হিমসিম খাচ্ছে। যাতে করে দ্বিগুণ দামে বিকিকিনি হচ্ছে নানান শাক-সবজি সহ তরী-তরকারী।
অন্যদিকে জেলা সদরের বৃহত্তর বানিজ্যিক শহর ঈদগাঁওর কাচাঁ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া লোকজন হরেক রকম তরী-তরকারী কিনতে গিয়ে দ্বিগুণ দামের কারণে হিমসিম খাচ্ছে। এমনকি দিনে আয় করে দিনে খায় এমন লোকজনও চরমভাবে শাক-সবজি কিনতে গিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে কয়েকজন তরী-তরকারী বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় তরকারীর মধ্যে বেগুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা, দেশী করলা ৬০ টাকা, বেন্ডি ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৩০ টাকা, ফল ৩৫ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পিয়াজ ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ঈদগাঁও বাজার সহ পার্শ্ববতী উপবাজার সমূহের বিভিন্ন মুদি দোকানে। এভাবে জিনিস পত্রের দাম বাড়তে থাকলে মহা দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়বে বৃহত্তর এলাকার মানুষজন।
ঈদগাঁও বাজারে মালামাল কিনতে আসা পোকখালী ও চৌফলদন্ডীর কয়েক মুরব্বীর সাথে কথা হলে তারা- সম্প্রতি তরী-তরকারীর দাম বৃদ্ধিতে তারা মহা টেনশনে পড়েছে। এদিকে মাছ মাংসের দাম চড়া হওয়ায় অনেকে তরী-তরকারীর দিকে ঝুকে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই নিত্য প্রয়োজনীয় তরী-তরকারীর দাম ও দ্বিগুন আকারে হওয়ায় গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া লোকজন কি খাবে এমন প্রশ্নে ঘোরপাক খাচ্ছে তাদের মাঝে। তবে সচেতন মহলের মতে, তরী-তরকারীর দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার আহবান জানান।
You must be logged in to post a comment.