মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
সায়েব মোহাম্মদ সেমিম; বয়স ১৮। কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডস্থ বাঁশঘাট এলাকার মীর কাশেমের ছেলে। চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ছিল সেমিমের জন্মদিন। কিন্তু জন্মদিনের দিন প্রথম প্রহর অতিবাহিত না হতেই কথিত প্রেম নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমান করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলে না ফেরার দেশে। গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এতে বন্ধু-বান্ধবসহ পরিবারের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
চকরিয়া পৌসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, কলেজে পড়ার সময় একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরীর চেষ্টা করেছিল সেমিম। কিন্তু ওই সম্পর্ক না হওয়ায় ক্ষোভ ও অভিমান করে সেমিম। ধারনা করা হচ্ছে ওই অভিমান ও ক্ষোভ থেকে শনিবার ভোরের কোন এক সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে সেমিম।
এদিকে, সেমিম আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে বলে ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাসও দেয়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ১৯ মিনিটে একটি স্ট্যাটাস দেন ‘আত্মহত্যা মহাপাপ’ শুধু এই কথার উপর বেঁচে আছে হাজার হাজার জীবন্ত লাশ”। একইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় ‘উপায় ছিল নাহ” বলে আরেকটি স্ট্যাটাস দেয় ছাত্র সেমিম। এই স্ট্যাটাস যে বাস্তবে রূপ পাবে কেউ কল্পনাই করেনি। তাই গুরুত্ব দেয়নি তার লেখায়। কিন্তু ওই স্ট্যাটাসে বাস্তবে রুপ দিযে শনিবার ভোররাতে জীবনের ইতি টানলো সেমিম।
চকরিয়া থানার এসআই আবদুল খালেক বলেন, পরিবারের অজান্তে শনিবার ভোরের কোন এক সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সেমিম আত্মহত্যা করে। সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে আমিসহ একদল পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
You must be logged in to post a comment.