কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ গোমাতলী সড়কের ব্রীজ কালভার্ট চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জনবহুল এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন ও লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করছেন। এমনকি এ সড়কে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। এ সড়কে চলাচলরত বেশ ক’জন চালকের মতে, খুব অল্প সময়ে গোমাতলী রাজঘাট সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কের পাশাপাশি ব্রীজ কালভার্টগুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। তবে এলাকাবাসীর মতে, প্রতিবর্ষায় এ সড়কের ব্রীজ কালভার্টের দু’পাশের এপ্রোচ দেয়ালের মাটি সরে যায়। যার কারণে ব্রীজগুলো সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় ৫ কিলোমিটারের বেশি এলজিইডির এ সড়কটি দিয়ে লবণ ও চিংড়ি মাছ পরিবহন করা হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের তিনটি ব্রীজের দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
আরো জানা যায়, চলতি শুষ্ক মৌসুমে এসব ব্রীজ কালভার্টের দু’পাশের মাটি ভরাটের কাজ করা না হলে আগামী লবণ মৌসুমের শেষের দিকে ব্রীজগুলো সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সদর কক্সবাজার এ সড়কের গোমাতলী সংযোগ ব্রীজ, পশ্চিম গোমাতলী চৌকিদার দোকানস্থ বারডইল্যা ঘোনা ব্রীজ, উত্তর গোমাতলী কাটাখালী ব্রীজ বা কালভার্ট কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন। নির্মানের কিছুদিন পর্যন্ত সড়ক না থাকায় ব্রীজগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকলেও গোমাতলী রাজঘাট সড়ক সম্প্রসারণ কাজ হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পায়। যানবাহন বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সড়ক দিয়ে লাখ লাখ টাকার লবন ও চিংড়ি পরিবহন বাড়ছে। অত্যান্ত জনবহুল এ সড়কটির ব্রীজ কালভার্ট বেহাল অবস্থা হওয়ার পেছনে স্থানীয়রা চিংড়ি ঘের মালিক ও চাষীদের দুষছেন। তাদের মতে, চিংড়ি চাষীরা প্রতিবছর ঘের করে লাখ টাকা আয় করলেও পানি নিষ্কাশন করার ক্ষেত্রে তারা এসব ব্রীজ কালভার্ট ব্যবহার করে থাকেন। যার কারণে বারডইল্যা ঘোনা ও কাটাখালী ব্রীজের এপ্রোচের মাটি সরে গেছে। এমনকি প্রতিবছর মৌসুম শেষে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ দেন ঘের মালিকরা।
বর্তমানে ব্রীজ দু’টির উভয় পাশ সরু হয়ে গেছে। এতে করে চলাচলরত সিএনজি, জীপসহ অন্যান্য যানবাহন ব্রীজ পার হতে নানা সমস্যায় পড়ছেন। পোকখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ এহেছানের মতে, গোমাতলী সংযোগ ব্রীজের পূর্বপাশের এপ্রোচ ভেঙ্গে গেছে। চরম ঝুঁকিতে যানবাহন ও লোকজন চলাচল করছে।
You must be logged in to post a comment.