শহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :
জমে উঠছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ’র সম্মেলন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ততই বাড়ছে। পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি সম্মেলনে ৫ নেতা সভাপতি পদে তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদেও এই সংখ্যা ৫। সোমবার পর্যন্ত সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে যাঁরা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে আহমদ হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জাফর আলম।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, জেলা আওয়ামীলীগ’র শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। শুধু পত্রিকায় বিবৃতি নয়। প্রায় সব প্রার্থীই যাচ্ছেন নেতা-কর্মীদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থনা করছেন আশীর্বাদ। এবারের জেলা আওয়ামীলীগ’র সম্মেলনে যে বিষয়টি নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে সেটি হলো পোস্টারিং। দলীয় কাউন্সিল হওয়ায় ইতিপূর্বে কোন প্রার্থীই প্রচারণার কৌশল হিসেবে পোস্টারিংকে বেছে নিতেন না। কিন্তু চলতি বছরের সম্মেলনে ঘটেছে এর ব্যতিক্রম। গত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েক জন প্রার্থী পোস্টারিং এর মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
২৬ জানুয়ারি সকাল থেকেই প্রার্থীরা ঘুরে বেড়িয়েছেন জেলার নানা প্রান্তে। সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি গিয়েছিলেন নিজ উপজেলা চকরিয়ায়। নজরুল ইসলাম চৌধুরীর যাত্রা ছিলো টেকনাফ। জাফর আলম উখিয়া উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পার করেছেন ব্যস্ত সময়। অন্যান্য প্রার্থীদের বেশিরভাগই মুঠোফোনে তাঁদের প্রচারণা চালিয়েছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে জেলা ব্যাপী সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল অ্যাডভোকেট এ.কে আহমদ হোছাইন প্রার্থী হচ্ছেন না। জাফর আলম এবং মাসেদুল হক রাশেদ একই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গতকাল মুঠোফোনে যোগাযোগ দুটি সংবাদই যে গুজব সেটি নিশ্চিত হওয়া গেল। অ্যাডভোকেট এ.কে আহমদ হোছাইন বললেন তিনি সভাপতি প্রার্থী আছেন। অন্যদিকে জাফর আলম বললেন, তাঁর প্যানেলভুক্ত হয়ে নির্বাচন করার সংবাদটি সত্য নয়। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আসন্ন সম্মেলনে তিনি এককভাবে লড়বেন।
প্রার্থীরা ঘুম হারাম করে যাচ্ছেন নেতা কর্মীদের দ্বারে দ্বারে। নেতা কর্মীদের এতে খুশি হওয়ার কথা হলেও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সকল প্রার্থীই পূর্ব পরিচিত। এ কারণে কাকে বাদ দিয়ে কাকে নেতা নির্বাচন করবেন তা তাঁরা পড়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। এছাড়া কাউন্সিলর লিস্ট অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার ভাবনা তো রয়েছেই।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বললেন, তিনি চান সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হোক। এ ক্ষেত্রে তরুণ, মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতারাই তাঁর প্রথম পছন্দ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নেতা নির্বাচন করলে বিষয়টি ভিন্ন বলেও জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.