সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অধুনা / নারীদের অর্ন্তবাস ছোট হলেও কেন খুব জরুরি?

নারীদের অর্ন্তবাস ছোট হলেও কেন খুব জরুরি?

Bra

নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার। বিশেষ এই পোশাকটি ছোট হলেও, নারীদের কাছে এটি অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয় বিষয়। কিন্তু, এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সচেতনতা। সুন্দর ও সুডৌল বক্ষের অধিকারিণী হতে চান সকল নারীই। বক্ষযুগল সুন্দর না হলে নারীর নারীত্ব বিকশিত হয় না৷ সেই কারণে বক্ষের যত্নে একান্তভাবে স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক অন্তর্বাস প্রয়োজন। সেই কারণে কৈশোর থেকে মা, খালা বা পরিবারের অন্য কোন মহিলার পরামর্শ ও সাহায্য প্রয়োজন। সারাবিশ্বের প্রায় সমস্ত নারীই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় ১০০ বছর আগে ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। বক্ষবন্ধনী তৈরি করেছিলেন মেরি ফেল্পস জেকব। তবে, বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বক্ষবন্ধনীর ভোলবদল ঘটেছে অনেকটাই।

পুশ আপ ব্রা: নিজের স্তনযুগল নিয়ে যারা সন্তুষ্ট নন বা অল্পবয়সী মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পুশ আপ ব্রা বা ভেতরে ফোম দেওয়া বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করে থাকেন। যেহেতু মহিলাদের দিনের প্রায় বেশিরভাগ অংশই এটি ব্যবহার করতে হয় তাই এটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

সদ্য মায়েদের জন্য বিশেষ বক্ষবন্ধনী: সদ্য যারা মা হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ ধরনের বক্ষবন্ধনী রয়েছে। শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় যাতে মা এবং শিশুর কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় সেই কারণেই মায়েদের বিশেষ ধরনের এই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা উচিত। এতে শিশুর দুধ পান করাতেও কোন অসুবিধে হবে না। কীভাবে বাছবেন বক্ষবন্ধনী?

বাজারে বিভিন্ন ধরণের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র রঙ, ডিজাইন আর দাম দেখে নয় বক্ষবন্ধনীটি স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী তা জানাও প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনীতে ব্যবহৃত কাপড়ের গুণগত মানও দেখে নিতে হবে। অনেকক্ষেত্রে স্তনের আকারে সুন্দর করতে বক্ষবন্ধনীতে পাত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কি না সে বিষয়েও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

অনেক সময় অনেকে নিজের স্তনযুগল বড় বলে নির্দিষ্ট সাইজের চেয়ে ছোট বক্ষ বন্ধনী পরেন। এটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, এটি দেখতেও যেমন ভাল লাগে না তেমনই এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর। এছাড়া বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করলে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে।

বর্তমান সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সে কারণে ধর্ষণ প্রতিরোধ করতেও নতুন ইলেক্ট্রিক ‘ব্রা’ তৈরি করেছেন ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তিন ছাত্র। এই ধরনের ব্রা পরে থাকাকালীন যদি কোন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন, তবে সেই খবর সরাসরি পুলিশ এবং মহিলার পরিবারের কাছে চলে যাবে। কারণ, এই ব্রাতে জিপিএস ও জিএসএম ডিভাইস লাগানো রয়েছে। এই বিশেষ বক্ষবন্ধনী তৈরি করেছেন মনীষা মোহন ও তার দুই সঙ্গী নীলান্দি বসু ও রিম্পি ত্রিপাঠি।

বক্ষবন্ধনী বর্তমানে নারীর শরীর থেকে বেরিয়ে প্রদর্শনীতেও প্রদর্শিত হচ্ছে। জার্মানির রাটিঙ্গেন শহরে বক্ষবন্ধনীর একটি প্রদর্শনী হয়েছে। শুধুমাত্র প্রদর্শনী নয়, জার্মানির ফ্লো মার্কেটে পুরনো জিনিসের সঙ্গে পুরনো বক্ষবন্ধনীও বিক্রি করা হয়। তবে, এটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বক্ষবন্ধনী নারীর বক্ষযুগলকে আগলে রাখার জন্য তৈরি করা হলেও একে যৌনতার প্রতিক হিসেবেও দেখা হয়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা সিনেমার দৃশ্যে নারীকে বিকিনি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। যদিও, এমন দৃশ্য নিয়ে বারবার সমালোচনা হয়েছে কিন্তু সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ না করেই এর ব্যবহার চলছেই।

সূত্র:priyo.com

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

http://coxview.com/wp-content/uploads/2021/12/Day.jpg

১৯ জানুয়ারি; ইতিহাসের এইদিনে

  অনলাইন ডেস্ক :আজকের দিনটি সময়ের হিসাবে অতি অল্প সময়। আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/