কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে একটি গ্রামে ১৯ জন প্রতিবন্ধি রয়েছে। তাদের নেই চাকুরী। বেকারত্বে জীবন সংগ্রাম কাটিয়ে দিচ্ছে তারা। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ কষ্টে দিন পার করছে।
ঈদগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে প্রতিবন্ধীদের একটি দল রয়েছেন। তাদের নিয়ে বিপাকে পড়ছেন পরিবার।
প্রতিবন্ধিদের মধ্য রয়েছেন, শামসুল আলম তিনি একজন সুদক্ষ চালক ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় একযুগ পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। সেই থেকে এক পায়ের ভর করে পরিবারের ঘানি টেনে যাচ্ছেন। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে দূর্বিসহ দিনযাপন করছেন। সন্তানদের পড়ালেখার খরছ তো দূরের কথা, খাওয়া-দাওয়াতেও সমস্যা হচ্ছে।
নুর জাহান, কবির আহমদ, আবদুল্লাহ, জাফর আলম, সাদিয়া মনি, সানিয়া, জসিম উদ্দিন, রবিউল আলম, এরশাদুল হক, রিদোয়ান, রুজিনা আকতার, নুর মোহাম্মদ, লিয়াকত, ফরিদ, নওশাত, নুরু নাহার ও মুসলিমা আক্তার। প্রতিবন্ধি হয়ে তারা সমাজে অন্য দশজনের মত করে চলতে ফিরতে চাই।
এলাকায় ঈদগাঁও প্রতিবন্ধি সংস্থা নামে একটি সংগঠনও রয়েছে। তারা সবাই একত্রি থাকার চেষ্টা করছে। এসব প্রতিবন্ধি নানা সমস্যায় রয়েছেন। দীর্ঘকাল ধরে দেখার যেন কেউ নেই। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বেকায়দায়। বেকাত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে দিন পার করছেন এরা।
প্রতিবন্ধি সংস্থার সভাপতি শামসুল আলম জানান, ১৯ জন প্রতিবন্ধির মাঝে দুয়েকজন ছাড়া সবাই সরকারী ভাতা ভুক্ত। তা দিয়ে তো পরিবার আর ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরছ বহন করা সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধি কৌটায় নেই চাকুরী কারো। তাদের দিকে সু-নজরের দাবী জানান তিনি।
স্থানীয় মেম্বার বজলুর রশিদ জানান, এলাকার প্রতিবন্ধিরা সরকারীভাবে ভাতা ছাড়া অন্য কোন সহায়তা পায়নি। সাধারণ লোকজন যেভাবে পাচ্ছে সেই ভিত্তিতে তারাও পাচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা কোটায় বরাদ্দ আসেনা।
You must be logged in to post a comment.