নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় লোডশেডিং চরম আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা। তবে অতিরিক্ত লোডশেডিং বন্ধের দাবী সচেতন মহলের।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজারসহ উপবাজারসহ পাড়া মহল্লায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহুবার বৈদ্যুতিক লোডশেডিং চলছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাণিজ্য করতে নানাভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।
এদিকে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্টার্স, স-মিলসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে। আবার জনগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, ক্লিনিকে, ল্যাবের ফ্রিজে রক্ষিত জীবন রক্ষাকারী ঔষুধপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম চলছে। রাতের অন্ধকারে মশা-মাছির কামড়ানোর কারনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বাচ্চাসহ বাড়ীর বয়োবৃদ্ধ লোকজন।
অন্যদিকে ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, জালালাবাদ, পোকখালীসহ ঈদগাঁও এবং পাশ্ববর্তী চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ীর ফ্রিজে রক্ষিত মাছ, মাংস বা তরিতরকারী লোডশেডিংয়ের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান গৃহবধূরা। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে ফ্রিজও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকাও প্রকাশ করেন তারা। এছাড়াও ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন উপবাজারের ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে মহাটেনশনে পড়েছে। মুসল্লীরাও বেকায়দায় পড়েন।
বেশ কজন গ্রাহক জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেকবার লোডশেডিং হয়। এ সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজির কারনে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের খপ্পর থেকে কিভাবে বাঁচানো যায় তার উপায় খুঁজছেন বলে জানালেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, একদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের চরম অবস্থা, অন্যদিকে লেখাপড়া করা যাচ্ছেনা। তারউপর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল। এই তিন সমস্যা নিয়ে মহাবিপাকে পড়েন অসংখ্য গ্রাহক সমাজ।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পবিসের ডিজিএমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ১৫ মেগাওয়ার্ড বিদ্যুতের মাঝে বর্তমানে ৪ থেকে ৬ মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ আপডাউন করছেন বলে জানালেন।
You must be logged in to post a comment.