এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় তৈরী করতে ব্যস্ততার ধুম পড়েছে কক্সবাজার জেলা সদরের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ তৎসংলগ্ন উপবাজারের দর্জি পল্লীর অলিগলিতে। খটখট শব্দে মুখরিত করে তুলছে এসব এলাকা। টেইলার্সগুলোতে ঈদমুখী লোকজন নতুন কাপড় তৈরী করতে দেখা যাচ্ছে। যেন ঈদগাঁওর দর্জি পল্লীতে ব্যস্ততার ধুম পড়েছে। বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীক ভরা মৌসুমে দর্জিরা এক নিয়মেই কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ঈদগাঁও বাজারে অসংখ্য টেইলার্স রয়েছে। সেসব কাপড়ের দোকানগুলোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক নিত্য নতুন ডিজাইনের সার্ট, প্যান্ট, পান্জাবীর পিছ এনেছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই এসব টেইলার্সে ক্রেতাদের দেখা না মিললেও ৬/৭ রমজান পার হতে না হতেই বৃহত্তম ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন টেইলার্সমুখী হয়ে পছন্দের কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্তমুখর হয়ে পড়তে চোখে পড়ে। টেইলার্সে অর্ডার নেওয়া কাপড়গুলো নিজস্ব কারখানায় মনের মত করে সেলাই কাজে বেশিভাগই সময় পার করছেন দর্জি সমাজ।
এদিকে ঈদগাঁও বাজার, বাসষ্টেশনসহ ইসলামপুর, পোকখালী, কালিরছড়া বাজার নামক উপবাজার সমূহেও সমানতালে দর্জিরা নির্ঘুম কাপড় সেলাই ব্যস্তমুখর হয়ে পড়ে। ক্রেতাদের কাছে যথাসময়ে সেলাইকৃত জামা ডেলিভারী দেওয়ার মনমানসিকতা নিয়ে মনোযোগ সহকারে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা মুখর পরিবেশে মেশিনে খট খট শব্দে সেলাইয়ের কাজ করে যাচ্ছেন দর্জিরা। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাহিদা অনুযায়ী কাপড় তৈরী করে যাচ্ছে ক্রেতাদের।
অপরদিকে একেক টেইলার্সে কাপড়ের দাম ভিন্ন হলেও সেলাইয়ের দাম কিন্তু এক। আবার বৃহত্তম ঈদগাঁওর বহু লোকজন প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মানসম্মত কাপড় তৈরী করার লক্ষে কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রামের নামকরা টেইলার্সমুখী হচ্ছে। দুয়েক ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা মানসম্মত কাপড় সেলাই্ করতে টেইর্লাসমুখী হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.