সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / কক্সবাজার নদী রক্ষা কমিটির সভায় -জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান

কক্সবাজার নদী রক্ষা কমিটির সভায় -জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান

নদী দখলকারিরা নির্বাচন করতে পারবেনা : ছোট মিয়া বড় মিয়া সবাই উচ্ছেদ হবে

দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদী জনগণের সম্পত্তি। নদী কেউ দখল করতে পারবেনা। রেহায় পাবেন না নদী দখলকারিরা। উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা যাবেনা পরিবেশ। সবাইকে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আইনের ব্যাখা দিয়ে বলেন, নদী দখল করে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেননা। প্রমাণ পেলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে, সেই সাথে আনা হবে আইনের আওতায়। ছোট মিয়া বড় মিয়া সবাইকে নদী ছেড়ে দিতে হবে। এমন কি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও নদীর জমি দেয়া যাবেনা। আর নদীর জমি কোন ব্যক্তিকে দেয়ার ক্ষমতাও কোন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়নি।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নদী রক্ষা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কক্সবাজার জেলা নদী রক্ষা কমিটি আয়োজিত এ সভায় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বিশ্বের জল ব্যবস্থাপনার সাথে মিতালী রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন উঁচু অঞ্চলের জল বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে মিশে যাচ্ছে। এসব জল বিভিন্ন নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হওয়ায় এখানকার জমির উর্বরতা বেশি। যার কারনে বিশ্বে সবচেয়ে উর্বর ভূমির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই আমাদের দেশের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে, সর্বোপরি নিজের স্বার্থে নদী রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি কক্সবাজারের বাঁকখালীসহ অন্যান্য নদী সর্বোচ্চ বরাদ্দ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, বাঁকখালী নদী দখল দখলকারির সংখ্যা ৪২০ জন। এদের অনেকে প্রভাবশালী হলেও কেউ রক্ষা পাবেননা। তিনি অতি দ্রুত বাঁকখালী নদীসহ জেলার সকল নদীর জমির দখলকারিদের উচ্ছেদ করার অভিযান শুরু করবেন বলে জানান। সেই সাথে যারা ভূঁয়া খতিন তৈরি করে নদী দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান।

কক্সবাজারের নদী, উপকূল ও জলাশয়ের সমস্যা, সম্ভাব্য সমাধান ও অগ্রগতি বিষয়ক এই সভায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষনিক কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, এনজিও কর্মকর্তা আবু মোর্শেদে চৌধুরী খোকা, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু।

সভায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিপ্তর, বন বিভাগ, কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউএনওসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ ! https://coxview.com/tree-200-years-rafiq-5-2-24-1/

কালের সাক্ষী ২০০ বছরের পুরনো তেলশুর গাছ !

লামা বন বিভাগের বমু রিজার্ভ ফরেস্টের পুকুরিয়াখোলা এলাকায় অবস্থিত বৃহৎ তেলশুর গাছ দুইটি।   মোহাম্মদ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/