সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / ঈদগাঁওর মাছুয়াখালীতে ফুসলিয়ে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ : এলাকায় তোলপাড়

ঈদগাঁওর মাছুয়াখালীতে ফুসলিয়ে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ : এলাকায় তোলপাড়

নিজন্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ৭ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় ধামাচাপার চেষ্টার সংবাদে এলাকাজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষকের পাশাপাশি ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টায় জড়িতকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। ২ আগষ্ট দুপুর ১২ টার দিকে ঈদগাঁওর মাছুয়াখালী ট্রান্সপোর্ট এলাকা সংলগ্ন দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র মতে, স্থানীয় মোরা পাড়ার প্রবাসী টিটুর ৭বছর বয়সী কন্যা ছদ্মনাম (চম্পা) সাবান আনতে পার্শ্ববর্তী এলাকার শফি আলম প্রকাশ বাডু ড্রাইভারের পূত্র ছলিমের দোকানে যায়।

লম্পট ছলিম ফুসলিয়ে শিশু কন্যাকে দোকানে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বের হলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখে ফেলে। ঘটনা জানা জানি হলে তা ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করে।

তবে ধর্ষিতার চাচার মতে, ধর্ষক পরিবারের মারধর কিংবা হুমকির ভয়ে মুখ খুলতে পারছিনা। ধর্ষকের মামাত ভাই ও মামার নেতৃত্বে মোটা অংকের টাকায় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ভিক টিমের পরিবারকে টাকার প্রলোভন ও ভয়ভীতির মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার চেষ্টা করে। কিন্তু ঐসব ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সদর হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে ভর্তির পরামর্শ দিলেও শুক্রবার পুরোদিনও রাতে ভিকটিমকে বাড়িতে চাপের মাধ্যমে আবদ্ধ করে রাখে। পরদিন শনিবার ৩রা আগষ্ট সকালে স্থানীয় মেম্বারের হস্ত ক্ষেপে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ভিকটিমকে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ধর্ষকের মামাত ভাই ও মামা কতিপয় প্রভাবশালীর মাধ্যমে টাকার মিশনে ধামাচাপা বা দফাদফার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করে। অনতিবিলম্ব ধর্ষককে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চাপের মুখে ভিকটিমের পরিবার কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে ভিকটিমের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী হওয়ায় মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অপকটে বিষয়টি শিকার করেন।

স্থানীয় মেম্বার কামাল উদ্দীনের মতে, এ ঘটনা শুনার পর ধর্ষকের স্বজনরা ঘটনাটি মিমাংসা করে দিতে তার কাছে আসেন। কিন্তু তিনি আগে ভিক টিমকে চিকিৎসা ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।

ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মতে, এখনো পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে তিনি জানেন না। হয়ত তারা মডেল থানায় যোগাযোগ করে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।

সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) খায়রুজ্জামান এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/03/Hamidul-11-3-24.jpg

ঈদগড়ে মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত হচ্ছে শিশু কিশোর, বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

  হামিদুল হক; ঈদগড় :কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী জনপদ ঈদগড়ে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে লুডু খেলা এখন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/