গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে পাহাড়ে রামরাজত্ব করা ডাকাত দলের বেশ কয়েকটি আস্তানা ও বন্ধুকযুদ্ধে ৭ ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ র্যাব বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার প্রধান, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং লে.কর্ণেল সরোয়ার-বিন-কাসেম (বিপিএম,পিএসসি,এসি)।
তিনি দুপুর ১ টার দিকে গত ২ মার্চ (সোমবার) টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ী র্যাব-রোহিঙ্গা ডাকাতদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৭ ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে ৪ মার্চ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করলে এই সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন র্যাব-১৫ টেকনাফ (সিপিসি-১) ইনচার্জ লে.মির্জা শাহেদ মাহতাবসহ র্যাবের বেশ কর্মকর্তা।
ডাকাত দলের আস্তানা হিসাবে খ্যাত এডকা পাহাড়টি পরিদর্শন করার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ র্যাব বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও মিডিয়া উইং লে. কর্ণেল সরোয়ার-বিন-কাসেম বলেন, আমরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে মানবতার খাতিরে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছি। যা পুরো বিশ্বের মধ্যে আমাদের সুনাম অর্জন হয়েছে।
তাই বলে এই নয় যে কিছু অসাধু রোহিঙ্গা তাদের নিজস্ব জনবল গড়ে তুলে মাদক, গুম, খুনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে অত্র এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করে অশান্তি সৃষ্টি করবে। আমরা তাদের সেই অপতৎপরতা প্রতিরোধ ও পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা শীর্ষ ডাকাতদের নির্মুল করার জন্য র্যাব সদস্যদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাশাপাশি মাদক পাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাস দমনে আরো সফলতা পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বেশ কয়েক ঘন্টা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গুলোর আশে পাশে ডাকাত দলের রাত্রী যাপনের আস্তানা ও চলাচলের পথ গুলো পরিদর্শন করেন। এসময় সাথে ছিলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ ব্যাটলিয়নের দায়িত্বরত অধিনায়ক উইংকমান্ডার আজিম আহমেদ।
লে.মির্জা শাহেদ মাহতাব র্যাব-১৫ টেকনাফ।
You must be logged in to post a comment.