দক্ষ শিক্ষকের অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে কম্পিউটার ল্যাব অকার্যকর
এম.বেদারুল আলম; কক্সভিউ:
সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গত বছর জেলায় ৩০টি ল্যাব স্থাপন করা হলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা সম্ভব হয়নি। ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা এমনকি ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর গত বছর ২৮ মে জেলায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উক্ত পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে উক্ত ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠির জন্য ১৭টি ল্যাপটপ, ১টি লেজার প্রিন্টার, ১টি স্কেনার মেশিন, ১টি প্রিন্টার থ্রীজি মডেম, ৮টি টেবিল, ১৬টি চেয়ার এবং ১টি ইন্ট্রাকটরের জন্য টেবিলসহ একটি পরিপূর্ণ ল্যাবের সরঞ্জাম বরাদ্দ দেয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। পূর্ণাঙ্গ ল্যাব স্থাপনের ১ বছরেও নানা সমস্যা অবহেলা তদারকীর অভাবে এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে পরিপূর্ণভাবে চালু করতে পারছেনা। উক্ত ৩০টি কম্পিউটার ল্যাব। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র কম্পিউটার ল্যাবকে কাগজে কলমে রেখে সরঞ্জাম কাজে না লাগিয়ে নষ্ট করে ফেলছে।
কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ প্রাপ্ত ল্যাপটপ ও দামি অন্যান্য সরঞ্জাম প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে। মাদ্রাসায় বরাদ্দ প্রাপ্ত ল্যাব সমূহ শিক্ষক স্বল্পতা, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে চালু করতে না পারায় প্রায় অকেজো হয়ে পড়ছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ক্লাস নামে মাত্র চলছে বলে জানা গেছে। ফলে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।
এদিকে কম্পিউটার ল্যাব বরাদ্দ প্রদানের পর আদৌ চালু কিংবা কার্যকর কিনা তা যাচাই বা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঠে না যাওয়ায় কম্পিউটার ল্যাব কার্যক্রম প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করা জরুরী। উল্লেখ্য গত বছর মে মাসে জেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ল্যাব চালু করে। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ হল সদরে ঈদগাঁও এজি লুৎফর কবির বালিকা মাদ্রাসা, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়, পিএমখালী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
রামুতে ৩টির মধ্যে দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, জোয়ারিয়ানালা এইচএম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়, রামু কলেজ।
চকরিয়ার ৬টি হল চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়া কেন্দ্রিয় উচ্চ বিদ্যালয়, বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়, দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়।
পেকুয়ার শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ, ফাসিয়াখালী ফাজিল মাদ্রাসা।
কুতুবদিয়ার ৩টি হল কবি জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, সতরুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।
মহেশখালীতে ৪টি বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মহেশখালী আইল্যান্ড হাইস্কুল।
উখিয়ার ৩টি হল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, রুমখাপালং ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।
টেকনাফের ৩টি হল লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়, নয়াপাড়া আলহাজ্ব নবী হোসন উচ্চ বিদ্যালয় এবং হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
You must be logged in to post a comment.