গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
গভীর রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইব্রাহিম নামে এক মাদক কারবারী নিহত। সংঘটিত এই ঘটনায় বিজিবির দুই সিপাহী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি, ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, বিজিবি গোপন সংবাদে জানতে পারে বেশ কয়েকজন মাদক কারবারী সাবরাং খুরের মুখ মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইয়াবা পাচার করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী বিজিবি একটি টহল দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।
অবশেষে ৩১ জুলাই গভীর রাতে সাবরাং খুরের মুখ এলাকা থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দিকে আসা একটি (সিএনজি) গাড়ীকে থামানোর চেষ্টা করলে সিএনজির ভিতরে
থাকা মাদক পাচারকারীরা কোন কিছু না বুঝার আগেই বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। ৫/৬ মিনিট ধরে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে মাদক কারবারীরা পিছু হটে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক জানান, মাদক কারবারীদের ছোড়া গুলিতে বিজিবির ইমরান, আহসান নামে ২ সিপাহী আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল তল্লাশী করে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ধারালো কিরিচ এবং পাচারে ব্যবহার হওয়া একটি (সিএনজি) গাড়ীও জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িত পালিয়ে যাওয়া আরো ৩ মাদক কারবারীর নাম পাওয়া গেছে।
তারা হচ্ছে, উখিয়া কুতুপালং এলাকার নুর হোসেন (৩০), পিতা অজ্ঞাত, লেদা রোহিঙ্গা ২৬ নং ক্যাম্পের আব্দুল কাশেম (৩০), পিতা অজ্ঞাত, কম্বনিয়া পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস ছালামের পুত্র মোঃ তাহের (২৬) সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এই তিন যুবককেও উক্ত মামলায় পলাতক আসামী করা হবে। পাশাপাশি মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদের নির্মুল করতে বিজিবি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.