ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের। কোনো দল থেকে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন তিনি। রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।
নুর জানান, ভোট করার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে তিনি ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। তার সংগঠনে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সব কিছু ঠিক থাকলে নাগরিক অধিকার পরিষদের ব্যানারে তিনি নির্বাচন করতে চান।
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ঢাকার উত্তরা-বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটি সব দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে নির্বাচন করে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চান তরুণ নেতা নুর।
ছাত্রজীবন শেষ না হতেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার যুক্তিও এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন ডাকসু ভিপি। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে গণতন্ত্র নেই। জনগণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। যে কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণের অনীহা। গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। এ কারণে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ভোটের দিন নির্বাচনী মাঠে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গণজাগরণ ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, ভোট যাই হোক, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে দেশে। সব দিক বিবেচনা করে নির্বাচনে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্যই ঢাকা-১৮ আসনে ভোট করতে চাই।
নুর জানান, তিনি উত্তরায় থাকতেন। সে কারণে সেখানকার আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। অনেকেই চাইছেন নুর যেন নির্বাচনে অংশ নেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ভোট করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ভিপি নুর বলেন, আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করব। কোনো দলের টিকিটে নির্বাচন করব না। আমরা নিজেরাই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টায় আছি। আমাদের ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আছে সারাদেশে। যুব অধিকার পরিষদ আছে। একটা পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত নাগরিক অধিকার পরিষদের ব্যানারে নির্বাচন করতে চাই।
আরও পড়ুন: দেশে কমেছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত
নুর জানান, কোনো দল তার প্রতি সমর্থন দিতে চাইলে তিনি সেটি স্বাগত জানাবেন। এ ছাড়া কোনো দল যদি নুর প্রার্থী হওয়ায় ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী না দেয় সেটিকেও স্বাগত জানাবেন। তবে কোনো দলের মনোনয়নে কিংবা ব্যানারে নির্বাচন করবেন না।
উপনির্বাচন করলে ডাকসুর পদ ছাড়তে হবে কিনা এমন প্রশ্নে নুর বলেন, এমনিতেই ডাকসুতে তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নতুন নির্বাচন না হওয়ায় এখনও দায়িত্ব পালন করছেন। তাই পদ ছাড়া বা রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.