ইচ্ছাশক্তি এমনই একটা জিনিস যার বলে অনেক অসাধ্য কাজ ও করা সম্ভব। আর সেই কথাই বুঝিয়ে দিল চীনের ছোট কন্যা জিয়াং। তার দুই পা নেই তাও সে হার মানে নি। ডান্স করে সারা বিশ্বকে অবাক করে দিল। আর তার নাচের ভিডিও দেখলে আপনারও গা কাঁটা দিয়ে উঠবে।
১২ বছর বয়সী এই মেয়েটির ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল সে নৃত্যশিল্পী হবে। তার স্বপ্নই ছিল একজন ব্যালেট ড্যান্সার হওয়ার। কিন্তু একটি মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনা তার সমস্ত স্বপ্ন কেড়ে নিল। মাত্র ছয় বছর বয়সেই জিয়াংয়ের দুটি পা-ই তার শরীর থেকে বাদ দিতে হয়।
ঘটনাটি ২০১০ সালের। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। তখনই একটি গাড়ি এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাকে। ঘটনাস্থলেই ছোট্ট জিয়াং রাস্তায় লুটিয়ে পরে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানায় তার দুটি পা-ই বাদ দিতে হবে। মেয়ের এহেন সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে জিয়াং-য়ের মা। কিন্তু ছয় বছর বয়সী ছোট্ট জিয়াং কিন্তু ভেঙে পড়েনি। সে মনের জোরে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে।
এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। এরপরই তার চোখে পরে একটি ট্যালেন্ট শোয়ের পোস্টারে। সেই পোস্টারটি দেখেই সে তার মায়ের কাছে বায়না করে সেই নাচের ট্যালেন্ট শো-তে অংশগ্রহণ করার। এরপরই শুরু হয় তার ব্যালেট ড্যান্সের প্রশিক্ষণ। প্রতিদিন চলত এই ডান্স প্র্যাকটিস। দিন রাত এক করে সে কঠোর পরিশ্রম করত। তার গভীর অধ্যাবসায় দেখে চমকে গিয়েছিল তার পরিবারের লোকজনও। মাকে সঙ্গী করেই সে চলে তার নাচের প্র্যাকটিস।
জিয়াংয়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সে জানায়, সে বড় হয়ে আরও বড় নৃত্যশিল্পী হতে চায়। প্রতিটি মানুষের জীবণেই বড় হতে গেলে আসে একাধিক বাধা। কিন্তু সেই একাধিক বাধাকে অতিক্রম করে কিভাবে বড় হওয়া যায় তারই একটি জ্বলজ্বলে উদাহরণ জিয়াং।
সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.