Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / পিরিয়ডে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার

পিরিয়ডে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2023/02/Health-Periods.jpg?resize=540%2C385&ssl=1

অনলাইন ডেস্ক :

পিরিয়ড বা মাসিক প্রতিটি নারীর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারীদেহের এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নারীস্বাস্থ্য, বিশেষ করে নারীর প্রজননস্বাস্থ্য এবং মাসিকের সময় পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিমাসে নারীকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে পিরিয়ড। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়। নারীদের জন্য স্পর্শকাতর বিষয় এটি। বিস্ময়ের ব্যাপার স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নারীরা সবসময় লুকিয়ে রাখতে চায়। আর নারীদের ধারণা, পিরিয়ড লোকলজ্জার বিষয়। তাই কারও সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা তো করেই না, ফার্মেসি থেকেও স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে লজ্জার অন্ত থাকে না তাদের।

মেয়েদের জন্য মাসিক, পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হছে বয়সন্ধিকালের হরমোনের প্রভাবজনিত অতি স্বাভাবিক একটি ঘটনা। একজন নারীর প্রতি মাসে ২ থেকে ৭ দিন মাসিক হয়ে থাকে। একজন নারীকে তার পুরো জীবনের গড়ে ছয় বছর মাসিকের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সহজ কথায়, পিরিয়ড আছে বলেই মেয়েরা গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারে৷ প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রকে এক ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়৷ এই পরিবর্তনের ফলে রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে৷ আর এটি মাসিক বা পিরিয়ড নামে পরিচিত।

আমাদের দেশে অনেক মেয়েরাই তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং মাসিকের সময়ে পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তেমন সচেতন নয়। পিরিয়ডের সময়ে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের সকলকেই জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। এখন আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে, পুরানো কাপড়, তুলা ও দীর্ঘ সময় ধরে একটাই প্যাড ব্যবহার করা কতটা অস্বাস্থ্যকর!

শহরের নারীরা এদিক থেকে একটু এগিয়ে গেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা এখনো পিরিয়ডে পুরনো কাপড় ব্যবহার করে। আর সেই কাপড় ধুয়ে রোদে শুকানোর ব্যাপারেও থাকে লজ্জা-উদাসীনতা। তাই গ্রামের বেশিরভাগ নারীই আক্রান্ত হয় জরায়ুর নানা রোগে। আর জীবাণুযুক্ত এই পুরনো কাপড়ের ব্যবহারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে তারা।

পিরিয়ডের সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় সব ক্ষেত্রে। কাপড়ের পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। ৬ ঘণ্টা পরপর ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে। নাহলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন গোসল করতে হবে। এতে পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন ক্লান্তি ও পিঠ-হাত-পা ব্যথাভাবও অনেকটা কমে যাবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল করতে হবে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণের ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

বর্তমানে অনেক শহুরে তরুণী স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা স্যানিটারি ন্যাপকিনের কথাই ঠিকমতো জানে না, মেনস্ট্রুয়াল কাপের কথা তো অনেক দূর। মেনস্ট্রুয়াল কাপ হলো একটি ছোট, নমনীয়, ফানেল-আকৃতির কাপ যা মাসিকের সময় নারীরা ব্যবহার করে। এটি সিলিকন বা রাবার দিয়ে তৈরি। যা যোনিতে স্থাপন করতে হয়। এই কাপ মেনস্ট্রুয়ালের রক্ত ধরে রাখে। অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগবে যে, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য কী?

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে যাদের হেভি-ফ্লো হয়, তাদের একটু অসুবিধেয় পড়তে হয়। লিকেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ৫/৬ ঘণ্টা পরপর চেঞ্জ করার বিরক্তি তো আছেই। আর স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রকৃতিতে মিশে যায় না। তাই পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। আবার ন্যাপকিন কিনতে খরচও হয় অনেক টাকা।

সেদিক থেকে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারই বেশি উপযোগী। মেনস্ট্রুয়াল কাপ একবার ব্যবহারে নির্বিঘ্নে কাটানো যায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে ৫ গুণ বেশি রক্তধারণ করতে পারে এই কাপ। এছাড়া একটি কাপ কিনে সহজেই যত্ন করে রাখলে ব্যবহার করতে পারেন ২ বছরেরও বেশি সময়।

স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মেনস্ট্রুয়াল কাপের এই পার্থক্যের জন্যই বর্তমানে তরুণীরা কাপ ব্যবহারে ঝুঁকেছে। আর প্রতিটি নারীর উচিত পিরিয়ডের সময়ে নিজের জন্য নিজের যত্ন নেওয়া। ভালো থাকুক প্রতিটি নারী।

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2023/02/Health-Periods-Menstrual-Cup-3.jpg?resize=540%2C309&ssl=1

পিরিয়ডের সময় যা করতে হবে

নারীস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং জটিলতা এড়াতে পিরিয়ডকালীন সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি। এ সময় পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকুন। মেনে চলুন কিছু নিয়ম-কানুন।

১. মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড বা মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করুন। কাপড়, তুলা বা টিস্যু ব্যবহার করবেন না।
২. চার থেকে ছয় ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি প্যাড পরিবর্তন করুন। একসঙ্গে দুটি স্যানিটারি প্যাড পরবেন না।
৩. র‍্যাশ এড়াতে যথাসময়ে প্যাড পরিবর্তন করা এবং যোনিপথের আশপাশের জায়গা শুকনা রাখা জরুরি।
৪. ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এড়াতে প্রতিদিন গোসল করুন। পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
৫. ব্যবহৃত কাপড় ও অন্তর্বাস পরিষ্কার করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
৬. যোনিপথের আশপাশে সুগন্ধী বা অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য ব্যবহার করবেন না।
৭. এ সময় জরায়ুতে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।
৮. ভারী কাজ, ব্যায়াম, সাঁতার বা সাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকুন।
৯. হরমোনের প্রভাবে এ সময় মানসিক ও শারীরিক বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। তাই মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
১০. এ সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার খান। প্রচুর পানি পান করুন।
জটিলতা এড়াতে নিয়মিত জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং করা জরুরি।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ কী?

এটি মূলত ফানেলের মতো আকৃতির মেডিক্যাল গ্রেড সিলিকনের কাপ। এটি ভাঁজ করে যোনিপথ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং ভেতরে যেয়ে সেটা প্রসারিত হয়ে জরায়ু মুখে আটকে যায়। মেনস্ট্রুয়াল কাপ স্যানিটারি প্যাডের মতো মাসিকের ব্লাড শুষে নেয় না, বরং এটি কাপের মধ্যে রক্ত স্টোর করে বা জমিয়ে রাখে। হেভি ফ্লো চললে নির্দিষ্ট সময় পরপর এই কাপটি বের করে পরিষ্কার করে নিতে হয়। কিন্তু প্যাডের মতো বার বার পাল্টানোর প্রয়োজন হয় না। মাসিকের সময় একজন নারীর দিনে গড়ে ২৫-৩০ মিলি ঋতুস্রাব হয়, আর কাপের ফানেলে জমা হতে পারে প্রায় ৬০ মিলি রক্ত! বুঝতেই পারছেন, এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোনো ইরিটেশন বা অস্বস্তি ছাড়াই পিরিয়ডের রক্ত জমিয়ে রাখতে পারে। মেনস্ট্রুয়াল কাপ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো বলে থাকে, ঠিকঠাকমতো ব্যবহার ও সংরক্ষণ করলে একটি কাপ আপনি ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চালাতে পারবেন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সুবিধা

পিরিয়ডের সময় মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা সব থেকে নিরাপদ ও আরামদায়ক বলে মনে করেন পশ্চিমা দেশের নারীরা। বাংলাদেশেও অনেকে এটি ব্যবহার শুরু করেছেন। মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সুবিধাগুলো একনজরে দেখে নেই চলুন।

১) কোনো বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এতে কোনো কেমিক্যাল বা সিন্থেটিক উপকরণ থাকে না।
২) ব্যাকটেরিয়াঘটিত যৌনাঙ্গব্যধি হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে নির্দিষ্ট সময় পরপর কাপ বার করে স্টেরিলাইজ বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৩) ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্ট বলতে পারেন এটাকে! কেননা একবার মেন্সট্রুয়াল কাপ কিনে রাখলে সেটা আপনি ৮ থেকে ১০ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। অবশ্যই এটাকে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা বলা যেতে পারে।
৪) এতে পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হয় না। প্যাড কিন্তু মাটিতে মিশে যায় না, আবার অনেক সময় ক্ষতিকর সিলিকা জেল থাকে।
৫) সবথেকে বড় কথা হল, এটা পরে থাকলে আপনি ভুলেই যাবেন যে আপনার মাসিক চলছে! প্যাড বদলানোর ঝামেলা নেই, কাপড়ে দাগ লাগার ভয় নেই, জার্নি বা ভ্রমণেও শান্তিতে থাকা যায়।

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2023/02/Health-Periods-Menstrual-Cup-1.jpg?resize=540%2C344&ssl=1
Menstrual Cup

কিভাবে ব্যবহার করতে হয়

প্রথমবার ব্যবহারের সময় একটু ভয় লাগতে পারে, কিন্তু এটাতে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে নিশ্চিন্তে আপনি পিরিয়ডের সময়টা কাটাতে পারবেন! প্রথমে কাপের খোলা মুখটি উপরে রেখে নীচের অংশ শক্ত করে ধরে যোনিপথে ঢুকিয়ে দিতে হবে। কাপটি আলতো করে সি-শেইপে (c shape) ফোল্ড করে বা ভাঁজ দিয়ে নিতে পারেন। ঢোকানোর পর ছাতার মতো খুলে গিয়ে কাপটি আটকে যাবে ভেতরে। তারপর ঘুরিয়ে সেটির মুখ আটকাতে হবে, যাতে ঋতুস্রাবের রক্ত বাইরে না বেরিয়ে আসে! ব্যস, হয়ে গেলো। লিকেজ বা জামাকাপড়ে রক্ত লাগার আর ভয় নেই, বার বার প্যাড পাল্টানোরও কোনো ঝক্কি নেই! টানা ৮ ঘণ্টা ব্যবহার করার পর টান দিয়ে আস্তে করে খুলে নিয়ে ব্লাড পরিষ্কার করে নিতে হবে। পিরিয়ডের ফ্লো কেমন সেটার উপর এটি নির্ভর করে। কিভাবে ব্যবহার করতে হয় মেনস্ট্রুয়াল কাপ, এটা নিয়ে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়ালও পেয়ে যাবেন। মেনস্ট্রুয়াল হাইজিনের সব থেকে আধুনিক সংস্করণ এখন আমাদের সাথেই আছে।

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2023/02/Health-Periods-Menstrual-Cup-2.jpg?resize=540%2C298&ssl=1
Menstrual Cup

কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়?

প্রতিবার পিরিয়ডের শেষে এটিকে গরম পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর মুছে নিয়ে তুলে রাখুন। জীবাণুমুক্ত রাখতে এটি শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। আর একটা কথা, পরিষ্কার হাতে এই কাপটি খুলতে, পড়তে বা ধরতে হবে। হাত থেকেও কিন্তু জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই সবসময়ই নিজের হাইজিন নিয়ে সতর্ক থাকবেন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপের অসুবিধাগুলো কী?

প্রথমবার ব্যবহারের সময় এটা পড়তে বা খুলতে একটু অসুবিধা হতে পারে। আগেই বলেছিলাম যে, জরায়ুতে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে এটা ব্যবহার না করাই ভালো। আবার যেহেতু পিরিয়ড ব্লাড এই কাপে জমা থাকে, আপনি নিজে সেটা বের করে ধুয়ে ফেলছেন। আপনার যদি এটাতে কোনো অস্বস্তি না থাকে, তাহলে মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারে আর কোনো সমস্যাই নেই!

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে?

আপনার বয়স, ভ্যাজাইনার গঠন এবং সন্তানধারণ করেছেন কি না এসব মিলিয়ে আপনাকে কাপের সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। কেননা সন্তানের জন্ম দিলে ভ্যাজাইনার পেশি শিথিল হয়ে যায়, তখন বড় সাইজের কাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আবার কিশোরী বয়সে সেটার মাপ আলাদা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আপনার যদি ফাইব্রোয়েডস (Fibroids) বা জরায়ুতে ইনফেকশন থেকে থাকে, তাহলে এটি ব্যবহার না করাই ভালো। হেভি ফ্লো বা স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা আছে কি না সেটাও এক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা অবশ্যই নিরাপদ। আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় উন্নত দেশগুলোতে এটির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। এই ব্যাপারে আপনি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অবশ্যই কাপের কোয়ালিটি, কী ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি, মেডিক্যাল গ্রেড কি না এগুলো খুব ভালোভাবে জেনে তারপর ব্যবহার করবেন।

পিরিয়ডের সময় সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মতো রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয়, তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিংয়ের পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যথা থাকে তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে। আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ভালো থাকুন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে সাংবাদিক সাগরের পিতার মৃত্যু : জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢল

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁওর সাংবাদিক এম আবু হেনা সাগরের পিতা মোজাম্মেল হক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/