সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও এক ডজন মামলার পলাতক আসামি নুরুল হুদাকে (৪০) গ্রেপ্তার করার পর পুলিশকে পিটিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় পুলিশের একজন উপপরিদর্শকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা গ্রামে এ ঘটনার সুত্রপাত হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পলাতক আসামি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদাকে আটক করার জন্য থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই সময় বাড়িতে থাকা লোকজন পুলিশের উপর ইট-পাটকেল, লাঠি সোটা ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। এতে থানার উপপরির্দশক (এসআই) সুবীর পাল (২৯), আনসার সদস্য সুলতান আহমদ (৫২), শহিদুল ইসলাম (৪৮), পুলিশ সদস্য দিদারুল আলম (২৮), মো: আলা উদ্দিন (২৭) আহত হয়।
আহত সুলতান আহমদকে মারাত্মক জখম অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আজকের কক্সবাজারকে জানান, রাতে একটি জিপ গাড়িতে করে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেফায়াত হোসেনের নেতত্বে একদল পুলিশ হ্নীলার লেদা গ্রামের নুরুল হুদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এসময় বাড়ি থেকে নুরুল হুদাকে হাতকড়া পড়িয়ে বাহির করার সময় ঘরে থাকা লোকজন ও আশপাশের কিছু লোক জড়িত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে নুরুল হুদাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর পালের নেতত্বে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সুবীর পালও আহত হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বলেন, পুলিশ তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও এক ডজন মামলার পলাতক আসামিকে আটক করতে অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে একজন উপপরিদর্শকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) শেফায়াত হোসেন বাদী হয়ে নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে ১৪জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে ওসি ইট-পাটকেলের আঘাতের কথা বললেও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল মান্নান জানান, আনসার সদস্য সুলতান আহমদের পিটে লোহার রড ও মাথায় দার কুপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে আরও জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭৬৪ জনের ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা অংশে নুরুল হুদার নাম রয়েছে ১ নম্বরে। ২, ৩ ও ৪ নম্বরে রয়েছে তাঁর অপর তিন ভাই নুরুল কবির, শামশুল হুদা ও নুর মোহাম্মদের নাম। এরমধ্যে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুর মোহাম্মদ নিহত হন।
You must be logged in to post a comment.