এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
গেল টানা ভারী বর্ষণও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ঈদগাঁওর নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শত শত ঘরবাড়ী পানিবন্দি হয়ে তারা এবারের ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজার ছাড়াও পার্শ্ববতী বৃহত্তর ঈদগাঁওর অন্যান্য ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছিল। কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পোকখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামাঞ্চল ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে ৩/৪ শত পরিবারের হাজার হাজার লোকজন পানিবন্দি রয়েছিল। ঐসব এলাকার পানিবন্দি পরিবারের অসহায় লোকজনের মাঝে ঈদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দটি ভেস্তে গেলো। ২০ জুন সকালে গেল ঢলের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া ঈদগাঁও নদীর অংশ পোকখালীর বেড়িঁবাধ দেখতে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
স্থানীয় মুরব্বী শাহ আলম, আমির হোসেন ও ফরিদ আলম জানান, গেল বন্যার পানিতে পোকখালীর বেঁড়ীবাধ ভেঙ্গে পশ্চিম পাড়া, কোনাপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের বহু বসতবাড়ী পানিতে ছিল। এমনকি পবিত্র ঈদের দিনেও এলাকার লোকজন পরির্পূন আনন্দ করতে পারেনি। এছাড়াও ঈদের নামাজটিও স্থানীয় মসজিদে পড়া সম্ভব হয়নি পানির কারণে। অনেকে বিভিন্ন এলাকার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন বলেও জানান।
তারা আরো জানান, এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে বিশাল এলাকাবাসীকে মরণ দশায় ভোগতে হবে। সে সাথে তারা চরম আতংকেও থাকেন বলে জানান। অবিলম্বে বেড়িবাঁধ টেকসই ভাবে সংস্কারের জোরদাবী জানান তারা।
অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের মতে, পানিবন্দি এলাকার অসহায় লোকজনের মাঝে গেল ঈদ আনন্দ নিয়ে চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া বিরাজ করতে দেখা যাচ্ছে। আনন্দ নিরানন্দে কেটেছে এলাকা বাসীর মাঝে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান লুতু জানান, ২১ জুন থেকে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি এবারের ঈদ কঠিন ভাবে কাটিয়েছে এলাকার লোকজন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.