সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ https://coxview.com/bangabandhu-sheikh-mujib-day-10-january-2/

অনলাইন ডেস্ক :

আজ ১০ জানুয়ারি; বাংলার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে বর্বর হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই গ্রেফতার হন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে।

 

বাঙালির পাশাপাশি বিশ্বের নানা দেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ১০ জানুয়ারি দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তার দেশে ফেরার মধ্য দিয়েই পূর্ণতা পায় বাঙালির মুক্তির আন্দোলন ‘মুক্তিযুদ্ধ’। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে পা রাখেন মুক্তির মহানায়ক।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু সোজা লন্ডন চলে যান। ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। ব্রিটেনের বিমানবাহিনীর একটি বিমানে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু। ১০ জানুয়ারি সকালে তিনি নামেন দিল্লিতে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর স্বদেশের পথে রওয়ানা দেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।

 

স্বদেশে ফিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উত্তাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশের জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারব কি না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। ’

 

দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রেখে নির্যাতন চালানো হয়। হত্যার পরিকল্পনা থেকে তাকে ফাঁসির মঞ্চেও নেয়া হয়। কিন্তু দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ও তার অদম্য সাহসের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী।

 

বঙ্গবন্ধুর ফেরার দিন সারা দেশ থেকে মানুষ ছুটে আসে তাদের নেতাকে একবার দেখার জন্য। স্বাধীন দেশে ভালবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু। বিমানবন্দর থেকে লাখ লাখ জনতার জনসমুদ্র পাড়ি দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিব তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘বাঙালি আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, সেই বাঙালির জন্য আমি রক্ত দিতেও প্রস্তুত’।

 

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায়, বাঙালির অর্জিত বিজয় যেন পূর্ণতা পাচ্ছিলো না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বিজয়ী বাঙালি থাকে প্রিয় নেতার ফেরার অপেক্ষায়।

 

এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘাতকের হাতে স্বপরিবারে জীবন দেন বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Sagar-23-4-2024.jpeg

ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কমিটি ঘোষণা : রিয়াজ সহ-সভাপতি মনোনীত

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/