অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা কুতুবদিয়া উপকূলের ১০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ গভীর সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় প্রায় ৩০টি ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি করেছে সশস্ত্র জলদস্যুরা। তাদের টার্গেট পূরণ না হওয়ায় ওইসব ট্রলার থেকে মাঝি-মালাসহ প্রায় ৫০জনকে অপহরণ করে গোপন আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গল ও বুধবার সকাল পর্যন্ত খুলনা সুন্দরবনের অদূরে জেলেরা ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে ট্রলার মালিকরা নিশ্চিত করেন। বর্তমানে জলদস্যুরা জেলেদেরকে অজ্ঞাতস্থানে আটক রেখে মোবাইলের মাধ্যমে ট্রলারের মালিকের কাছ থেকে জনপ্রতি এক লাখ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে বলে মত্স্যজীবিদের অভিযোগ। জলদস্যূদের কবলে জেলে অপহরণের খবর কুতুবদিয়া উপকূলে পৌছলে অপহৃত পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম। এমনকি জলদস্যুদের টার্গেট মতে টাকা না দিলে জেলেদের ফেরত ও ট্রলার সাগরে মাছ ধরার জন্য নামতে দেব না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে।
জানা যায়, গত এক মাস ধরে জলদস্যু বাহিনী সাগরে জলদস্যুতা করে গেলেও সাগররক্ষা বাহিনী কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জেলেদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের অপহৃত জেলে আলহাজ্ব ছাবের আহমদ কোম্পানী এফ.বি আলারদান ও এফ.বি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মোঃ হোসেন (আজলা) মাহাবুবুল হক, আবদু রশিদ প্রকাশ (বাইল্যা) কোম্পানীর সাগর কন্যা ট্রলারের ২জন, দিদার কোম্পানীর দুই ট্রলারের ৪জন, আলী আকবর ডেইল কুমিরারছড়ার রত্নসেন বহদ্দারের ২টি ট্রলারের মাঝি নুর হোসেন, সুজন, সাজু, সুভাষ ও ওসমান। একই এলাকার শেখ কামাল কোম্পানীর ১টি ট্রলারের মাঝি রহিম ও ড্রাইভার মিন্টু জলদাশ, সত্যরঞ্জন বহদ্দারের ২টি ট্রলারের নাছির, লেডু জলদাশসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যূরা।
কুতুবদিয়া ফিশিংট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি নুরুল আলম জানান, মত্স্যজীবিরা এ শুস্ক মৌসুমে সাগরে মাছ আহরণের জন্য কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিযোগ করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় সাগরে মাঝ ধরতে যেতে পারছেনা জেলেরা। কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন কোম্পানী কুতুবদিয়ার ১০ জেলেসহ অন্যান্য উপকূলের অপহৃত ৫০ জেলেদের উদ্ধার পূর্বক জলদস্যুদের আটক করার দাবী জানান।
অবশ্য কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএস থোয়াই গভীর সাগরে ডাকাতির ব্যাপারে তাদের করার কিছু নেই বলে জানান।
You must be logged in to post a comment.