এরা বিশ্বনেতা। বিশ্বের বুকে তারা প্রতিষ্ঠিত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে কেউবা আদর্শে কেউবা শাসননীতিতে। এদের কলমের খোঁচায় বাস্তবায়িত হয়েছে কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত। এখনো হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প, বারাক ওবামা, ভ্লাদিমির পুতিন প্রমুখ। ক্ষমতাধর বিশ্বনেতাদের কেউ কেউ ইহলোক ত্যাগও করেছেন। কেউ কি জানেন তাদের স্বাক্ষর দেখতে কেমন? দেখে নেওয়া যাক বিশ্বনেতাদের কয়েকজনের স্বাক্ষর কেমন হয়।
১। ডোনাল্ড ট্রাম্প : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট। ব্যবসায়ী থেকে তিনি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছে। প্রতিদিনই তাকে শত শত স্বাক্ষর করতে হয়।
২। বারাক ওবামা : যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে ১৯৬১ সালের ৪ আগস্ট তার জন্ম। অতি সাধারণ এই বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করে ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি প্রবেশ করেন হোয়াইট হাউসে।
৩। ভ্লাদিমির পুতিন : ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী রুশ প্রজাতন্ত্র বা রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ২য় মেয়াদে ৭ মে, ২০১২ তারিখ থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন। এর পূর্বে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ ও ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড রাশিয়া দলের সভাপতি এবং রাশিয়া ও বেলারুশের মন্ত্রীসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
৪। বাশার আল-আসাদ : সিরিয়ার অর্থাৎ সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, বাথ পার্টির আঞ্চলিক সচিব এবং সাবেক সিরীয় রাষ্ট্রপতি হাফেজ আল-আসাদের পুত্র ও রাজনৈতিক উত্তরসূরী। বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন বাথ পার্টি বর্তমানে সাংবিধানিক ভাবে সিরিয়ার সরকারি দল। ২০০০ রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত বাশার সিরিয়ার রাজনীতিতে তেমন ভাবে জড়িত হননি। রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে তিনি এর আগে সিরিয়ার কম্পিউটার সমিতির প্রধান ছিলেন।
উল্লেখ্য এই কম্পিউটার সমিতির অবদানেই ২০০১ সালে সিরিয়ায় ইন্টারনেটের বিস্তার ঘটে। বাশার আল-আসাদ ২০০১ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদে স্থায়িত্ব অর্জন করেন।
৫। নেলসন ম্যান্ডেলা : বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত রাষ্ট্রনায়ক। বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ম্যান্ডেলাকে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতাতুল্য সম্মান জানানো হয়। ২৭ বছরের কারাজীবনের পর ১৯৯০ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০৪ সালে ৮৫ বছর বয়সে ম্যান্ডেলা পরিবার ও বন্ধুবন্ধবকে বেশি সময় দেয়ার জন্য এক অর্থে নেপথ্যেই চলে যান। তিনি জনজীবন থেকে অবসর নেন। ২০১৩ সালে তিনি মারা যান।
৬। মহাত্মা গান্ধী : মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ – ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাভশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
৭। থেরেসা মে : সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ব্রিটিশ প্রমিলা রাজনীতিবিদ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। ১১ জুলাই, ২০১৬ তারিখে রক্ষণশীল দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন টেরেসা মে। এছাড়াও, ২০১০ থেকে ২০১৬ মেয়াদে বর্তমান রক্ষণশীল সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৯৭ সাল থেকে মেইডেনহেড সংসদীয় এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরূপে কমন্স সভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। একদেশীয় রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গীতে চিহ্নিত ও উদার রক্ষণশীল চরিত্রের অধিকারী তিনি।
৮। নরেন্দ্র মোদি : ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন। ২৬ শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একজন সদস্য এবং সংবাদমাধ্যম ও বিদগ্ধজনের মতো তিনি নিজেকে একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে দাবী করেন।
সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.