কাল যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিক আর ডেমোক্রেট, দুই দলই নানা কৌশলে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তের মূলে রয়েছে ট্রাম্প প্রসঙ্গ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায় আবারও নির্বাচনের প্রহর গুনছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন মুল্লুকে উৎসব মুখোর পরিবেশ এখন তুঙ্গে।
সময়ের হিসাব এখন দিন থেকে আরও ক্ষুদ্র একক ঘণ্টায় গুনছেন প্রার্থীরা। মার্কিন সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ছাড়াও রাজ্য ও আঞ্চলিক গভর্নর ও প্রশাসনিক পদে লড়াইয়ের জোর চলছে। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিক আর ডেমোক্রেট, দুই দলের প্রার্থীই জয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভোটারদের মন।
ভোটারদের মধ্যেও এ নির্বাচনকে ঘিরে নানা চাঞ্চল্য কাজ করছে। অনেকেই নির্বাচনটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, এ নির্বাচন প্রেসিডেন্ট ট্রাস্পের নেতৃত্বের ভাগ্য পরীক্ষা। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজাল বলেছেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারী থেকে দুই পক্ষের ভোটাররাই এই দিনটির জন্য মুখিয়ে আছেন।
কেননা, এই নির্বাচনের ফলে শুধু যে মার্কিন কংগ্রেস হাতবদল হতে পারে, তাই নয় বরং, ট্রাম্পের শাসনকালের পরবর্তী বছরগুলো কেমন কাটবে, তাও নির্ধারিত হতে পারে। তবে অধিকাংশ ভোটারের কাছেই কোন দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন সে দ্বিধাদ্বন্দের কেন্দ্রেই রয়েছে ট্রাম্প প্রসঙ্গ।
জনমত জরিপ বলছে, রিপাবলিকানদের পেছনে ফেলে জয় পাবে ডেমোক্রেটরা। জরিপে দেখা গেছে, প্রতি একশ ডেমোক্রেট সমর্থক ভোটারের মধ্যে ৯২ জনই ট্রাম্পের বিপক্ষে। আর রিপাবলিকানদের বেলায় ট্রাম্পের পক্ষে ৮৭ শতাংশ ভোটার। ডেমোক্রেট নেতাদের বাড়িতে প্যাকেজ বোমা, পিটার্সবার্গ হামলা, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষনাসহ অন্য বিষয়গুলো ট্রাম্প কিভাবে সামাল দিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে এখনো জরিপে এগিয়ে ডেমোক্রোট।
সূত্র:somoynews.tv; ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.