নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মাঝে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ও ঈদুল আযহাকে ঘিরে পশুর হাট বসানোর কারনে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে গরু ব্যবসায়ী ও মালিকরা সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে পশু জড়ো করে ঈদগাঁওর গরু বাজারে। নয়া কৌশলে নির্দিষ্ট গরু বাজারের পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী আনুমিয়া সিকদার ইটভাটায় গরু বাজার বসায়।
১০ জুলাই দুপুরেই পশু বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, গ্রামগঞ্চ থেকে গরু-মহিষ আনছেন লোকজন। সবর্ত্র স্থানজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। কিছু কিছু লোকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
করোনায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে চতুর পাশ জুড়েই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী টহল থাকার পরেও কিভাবেই সম্ভব মহাসড়কের উপর গেইট দিয়ে গরু বাজার বসানো। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সরকার জনগণকে বাঁচাতে কঠোর লকডাউন দিয়েছেন। পন্যবাহী যানবাহন ফার্মেসী ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এমন করুন অবস্থায় বাজার বসানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে।
ঈদগাঁও শ্রমিকলীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা জানান, দেশেই দিন দিন করোনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় মানুষের জীবন বাচাঁতে গরু বাজার বন্ধ করা হউক। তিনি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঈদগাঁও যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রাশেদ উদ্দিন রাশেদ জানান, করোনার ঝুঁকি ঠেকাতে এই গরু বাজার বন্ধ অতীব জরুরী।
ছাত্রলীগ নেতা রাহুল পাল জানান, কোরবানী করার সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট চালু রাখলেই ভাল হয়।
জালালাবাদ মেম্বার আরমান উদ্দিন জানালেন, বাজারের দোকানপাঠ প্রসাশন যদি বন্ধ রাখতে পারলে, কেন গরুর বাজার বন্ধ নেই। পশুর হাট কি করোনার বাইরে নাকি, এমন প্রশ্নে ঘোরপাক খাচ্ছে তার।
বাজার ইজারাদার রমজান কোম্পানী জানান, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দুরত্ব বজায় ও ক্রেতা বিক্রেতাদেরকে মাস্ক পরিধান করে গরু বাজার বসানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.