মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছয় মাইলের রাস্তা হতে বনপুর বাজার সড়ক সংলগ্ন টোল পয়েন্টের টোল আদায়কারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার যুবক মোঃ হামিদ (২০) বিচার চেয়ে বুধবার বিকেলে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত মোঃ হামিদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কুমারী রাঙ্গাঝিরি এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের বৈধ টোল আদায়কারীর পক্ষে কর্মচারী মোঃ হামিদ বনপুর সড়কে নিয়মিত টোল আদায় করেন। ১৩ এপ্রিল টোল পয়েন্টে দায়িত্ব পালনকালে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর মসজিদ ঘাটার মোঃ সরোয়ার (৪০) ও বনপুর বড় মার্মা পাড়ার অংছাহ্লা মার্মার ছেলে আম্মি মার্মা (৪৩) সহ আরো ৩/৪ জন তামাক লোড একটি গাড়ি নিয়ে আসে। আমি তাদের কাছে সরকারি নিয়ম অনুযায় টোল চাইলে বিবাদীগণ আমাকে টোল দিবে না জানায়। আমি টোল না দেওয়ায় পরিষদে জানাবো বললে বিবাদীগণ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আমি বিবাদীগণের এ অন্যায় আচরণ আমার স্মার্ট ফোনে রেকর্ডকালে তারা আমার স্মার্ট ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। যার আনুমানিক মূল্য ৬ হাজার ৫শত টাকা। যার পর বিবাদীগণ দলবদ্ধ হয়ে আরো ৩/৪জন লোক সহ আমার মুখে, বুকে, পিঠে এমনকি পুরো শরীরে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। আমি বিবাদীগণের মারধর সহ্য করতে না পেরে মাটিতে শুয়ে পড়লে আমার বুকে পিঠে সজোরে লাথি মারতে থাকে। পরে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। এসময় বিবাদীগণ টোল পয়েন্টের ক্যাশ থেকে পাঁচ দিনের টোল আদায়ের আনুমানিক ৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমার শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
এই বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সমাধানে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও আম্মি মার্মার ছোট ভাই আপ্রুসিং মার্মাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সরকারি টোল না দেয়ার কোন সুযোগ নাই।
You must be logged in to post a comment.