সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শীতে অসহায় মানুষজন দুর্ভোগে : শীতবস্ত্র বিতরণ দাবী

শীতে অসহায় মানুষজন দুর্ভোগে : শীতবস্ত্র বিতরণ দাবী

Winter - 33এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :

চতুর্দিকে প্রচন্ড শীত জেঁকে বসেছে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতল হাওয়া আর কুয়াশায় করুণ অবস্থা। এ দুই সমস্যা নিয়ে চরম দুর্ভোগ আর দূর্গতিতে নিপতিত রয়েছে মানুষজন। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নানা গ্রামগঞ্জের লোকজন সম্প্রতি লেপ-তোষক ও গরম কাপড় সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করেছে। এসব কিছু করার পরেও কমছে না এ প্রচন্ড শীত। শীত তার আপন শক্তিতে কাবু করছে আবাল-বৃদ্ধ বণিতাকে। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত মানুষজন সাধ আর সাধ্যের মধ্যে কোন রকম শীত নিবারণ করছে। এ শীতে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। কিন্তু প্রচন্ড এই ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ। ঠিক মতো খাবার জুটছে না দু’বেলা। তারাই কিভাবে শীত কাপড় কিনে পরিধান করবে। যার দরুণ ছেড়া-কাপড় ও পুরনো অন্যজনের শীতবস্ত্র মুড়িয়ে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে চায় তারা। দিন ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামার পরপরই এসব খেটে খাওয়া অসহায় লোকজনের যন্ত্রণার সূচনা ঘটে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে যখন রাত আসে, বাড়ীর চালে টুপুর টাপুর কুয়াশার শব্দ আর প্রচন্ড হিমশীতল হাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ আর কষ্টের সীমা থাকে না। এমনিভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলা তথা উখিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, রামু ও কক্সবাজার সদরের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে অসহায় আর ছিন্নমূল লোকজনের মাঝে প্রচন্ড শীতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। বিত্তবানরা নিত্য নতুন শীত কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হলে অসহায় মানুষদের চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা যায়। আবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুটপাত, রাস্তার মোড়, মার্কেটের বারান্দা বা জরাজীর্ণ বস্তিতে শীতের সাথে যুদ্ধ করে চলছে অসহায় মানুষজন। অনেকেই রাস্তার একপাশে কিংবা অন্য কোন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে নির্ঘুম বসে থাকে। তার পাশাপাশি দলবেধে ঘুমিয়ে আছে পথশিশুসহ ছিন্নমূলরা। তাদের গায়ে নেই কোন শীতকাপড়।

জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে সুপরিচিত ঈদগাঁও বাজারে সন্ধ্যাবেলায় বিভিন্ন অলিগলিতে পথশিশুদের এমন চিত্র দেখা যায়। এ শীতে কিছুক্ষণ পর পরই কেঁপে উঠে তারা। শীত সহ্য করতে না পেরে আগুনের তাপের আশ্রয় নিয়েছে এসব অসহায় লোকজন।

ঈদগাঁও বাজারের অলিগলির পথশিশুদের মতে, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে কিংবা অন্যান্য কাজকর্ম শেষে বিশ্রাম নেওয়ার একমাত্র স্থান হচ্ছে দোকানের বারান্দা। তাদের কারো বাবা আছে মা নেই, আবার মা আছে বাবা নেই। কাগজ কুঁড়িয়ে কিংবা অন্য কাজকর্ম করে তাদের দিন চলে। কেউ অনাহারে আবার অর্ধাহারে বা উপুস থেকে কোন না কোন দোকানের বারান্দায় ঘুমাতে দেখা যায়। তবে সচেতন মহলের মতে, যেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউই নেই। প্রচন্ড শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবান বা প্রবাসীদের প্রতি এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।

ঈদগাঁও লেখক সোসাইটির সভাপতি এসএম রুবেল উদ্দীন ও সাধারন সম্পাদক আবু নাছেরের মতে, একটি শীত কাপড় বিতরণ করে একজন অসহায় কিংবা ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। তাই এ শীতবস্ত্র বিতরণে বিত্তবান ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহবানও জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/