অনলাইন ডেস্ক :
করোনা পরবর্তী সময়ে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য সংকটের আভাস মিলেছে, তার সম্ভাব্য প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি খাবারের অপচয় না করতে এবং সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তাই এ দুর্ভিক্ষ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। এখন ছাদ কৃষির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া যার যতটুকু জমি আছে আপনারা তাতে কিছু না কিছু চাষাবাদ করেন। আমি আবারো অনুরোধ করছি, কোনো খাদ্যের অপচয় নয়। খাদ্য উৎপাদন বাড়ান। সারা বিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস আমরা পাচ্ছি, তার থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করুন।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের খাবার নিজেরা উৎপাদন করার চেষ্টা করবেন, যাতে পরিবেশের উপর চাপ কমে, বাজারের উপর চাপ কমে এবং সবাই মিলে আমরা কাজ করলে অবশ্যই আমাদের দেশে কোনো রকম আঘাত আসবে না। আমি বিশ্বাস করি সবার প্রচেষ্টায় এটা করা সম্ভব।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলায় সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে সেগুলো রপ্তানি করে অনেক দেশের খাদ্য ঘাটতিতে সহায়তা যাতে করতে পারি, সেটা মাথায় রেখে আমাদের সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পুষ্টিকর খাদ্য, সুষম খাদ্য, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চায়, যা কেবল দেশে নয়, পুরো বিশ্বের মানুষেরই প্রয়োজন।
দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কৃষিবিদদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কৃষকদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই যে তারা আজকে আমাদের এই খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। কাজেই তাদের সম্মান করা, তাদের সহযোগিতা করা এটা একান্তভাবে অপরিহার্য।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.