শহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :
যতই ঘনিয়ে আসছে ৩১ জানুয়ারি। এতোই জটিল আকার ধারণ করছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ’র সম্মেলন। একপক্ষ কেন্দ্র ঘোষিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি করছে। অন্যপক্ষ বলছে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলন হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা। শনিবার ঢাকা থেকে মুঠোফোনে সভাপতি প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী বললেন, সাধারণ কর্মীরা এখন সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তিনিও সেটাই প্রত্যাশা করছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজী হননি তিনি।
জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর হেনস্থা হওয়ার বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখেননি জেলার শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে আবু তালেব এবং মাহামুদুল করিম মাদু’র মতো তরুণ নেতাদের হাতে প্রবীণ এক জনপ্রতিনিধি লাঞ্ছিত হওয়ায় তাঁরা মর্মাহত। সম্মেলন হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনার কথা ইতোমধ্যে তাঁরা কেন্দ্রকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে এ ব্যাপারে প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ওবায়দুল কাদের এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মোস্তাক আহমদ চৌধুরী নিজেও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে তাঁকে নাজেহাল করার বিষয়টি জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র দাবি করছে। আর এটিই এখন জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা গেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের বিকল্প দেখছেন না নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী সংগঠনের ব্যাপারে তাঁর উপর অর্পিত সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করেই বিষয়টির সুরাহা করবেন। সেটাই প্রত্যাশা তাঁদের। অর্থের বিনিময়ে কাউন্সিলর কেনার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা ঠেকাতে এর বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন তাঁরা।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্ না পেয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার ফিরে এসেছেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ.কে আহমদ হোছাইন। তিনি ফিরে এলেও মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক মো.আলী সহ জেলার অধিকাংশ নেতা-কর্মী এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। রবিবার মুঠোফোনে এডভোকেট এ.কে আহমদ হোছাইন বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম.এ আজিজের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ব্যথিত ছিলেন। এ কারণে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এড়াতে কিছু কৌশল অবলম্বনের পথ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। এক্ষেত্রে সদর উপজেলার কাউন্সিলর তালিকা থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে প্রবীণ নেতাদের স্থান করে দেয়াকে সর্বোত্তম পন্থা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা রেজাউল করিম বলেন, মধ্যস্তরের কিছু নেতার জন্য সম্মেলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁরা সম্মেলন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবে। ৩১ জানুয়ারি সম্মেলন করতে সকলে একমত।
You must be logged in to post a comment.