অনলাইন ডেস্ক :
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রুল শুনানি পিছিয়ে ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করা হয়।
ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর করা মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। মামলায় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
পরে একই বছর এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর আসামিরা এই মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়। মঙ্গলবার এই রিট মামলাগুলো কার্যতালিকায় আসলে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ডা. জোবায়দাকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ডা. জোবায়দা। গত ১৩ এপ্রিল সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.