অনলাইন ডেস্ক :
পূর্ব আফগানিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের কিছু এলাকার মৌসুমি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট প্রবল বন্যায়, এক রাতেই কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর। শনিবার (২০ আগস্ট) আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় লোগার প্রদেশে ভারী বর্ষণের জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এই ঘটনা ঘটে। রোববার স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দক্ষিণে লোগার প্রদেশের খুশি জেলার গ্রামবাসীরা বন্যার পর তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছে।
লোগার প্রদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা কর্তৃপক্ষের প্রধান আবদুল্লাহ মুফাকার বলেছেন, বাড়তে থাকা পানির কারণে কতজনের মৃত হয়েছে ও আহত হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেল আগা নামের একজন প্রবীণ গ্রামবাসী জানান, খুশি জেলার ইতিহাসে এমন বন্যা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এটি ঘরবাড়ি, সব গবাদিপশু এবং কৃষিজমি ধ্বংস করেছে। মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, তারা পাহাড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিবেশী পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ১১ জনসহ অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ কথা জানিয়েছে দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায়, উদ্ধারকর্মীরা জলাবদ্ধ অবস্থা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে এনেছে। এই সপ্তাহে পাকিস্তানে আরো বৃষ্টিপাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই অঞ্চলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ কয়েক ডজন মানুষ।
উল্লেখ্য, বন্যা এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে প্রতি বছর অসংখ্য আফগান নাগরিক মারা যায়। বিশেষ করে দরিদ্র গ্রামীণ এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত বাড়িগুলো প্রায়ই ধসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে।
You must be logged in to post a comment.