সৌদি আরবের সাথে ইরানের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে প্রতিদিন। সৌদি আরব বলছে তারা ইরানের সাথে সব ধরণের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে।
শিয়া নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া নিয়ে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা যে চরমে উঠেছে তারই প্রেক্ষিতে এখন বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথাও বলেছে সৌদি আরব।
এর আগে তেহরানের সৌদি আরবের দূতাবাসে ভাংচুর করা হলে তাদের সাথে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাতকারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদ করার কথা বলেন। তবে তিনি আরো উল্লেখ করেন সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানে ইরানের নাগরিকরা যেতে পারবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণ বছরের পর বছর ধরে তাদের আগ্রাসী নীতি। বিশেষ করে গত কয়েক মাসের তাদের আচরণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাণিজ্যিক সম্পর্ক সহ সব সম্পর্ক ছিন্ন করার।
এদিকে শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনার জেরে সৌদি আরব ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সোমবার আরও তিনটি দেশ বাহরাইন, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে।
বাহরাইন, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে
সন্ত্রাসী তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে শনিবার ৪৭ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদের মধ্যে একজন ছিলেন শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমর। সৌদি আরবে শেখ আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড লেবানন থেকে ইরান পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের এই অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নিদের সবচেয়ে বড় শক্তি ইরান ও সৌদি আরব।
এদিকে ইরানে সৌদি দূতাবাসের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘে ইরানের দূত জাতিসংঘের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন তেহরানে দূতাবাস ভাংচুর করার ব্যাপারে যারা জড়িত তাদের ধরার চেষ্টা করছে তার দেশ।
সূত্র: বিবিসি/শীর্ষনিউজডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.