এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানের উপর নির্মম নির্যাতন, নিপীড়ন, গণহত্যা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশত্যাগ করে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়ার পর ধীরে ধীরে রোহিঙ্গারা সদরের বৃহৎ এলাকা ঈদগাঁওর গ্রামাঞ্চলমুখী হচ্ছে। কৌশলী হয়ে অনেকটা অবস্হান করছে। দলে দলে বৃহত্তর এলাকার পাড়া গাঁয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। ফলে স্হানীরা আতংকিত হয়ে পড়ে।
অপরদিকে এলাকার আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতির আশংকা প্রকাশ করেন সচেতন সমাজ। যাদের কারনে দেশীয়রা কোণঠাসা হয়ে পড়ার মত অবস্হা সৃষ্টি হবে বলে মত প্রকাশ করেন এলাকার সুশীল সমাজ।
সূত্রমতে, কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নানা ভাবে আশ্রয় নিয়েছে ওরা। তবে পূর্বে চলে এসে এলাকায় ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘরে বর্তমানে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হরেক রকম কৌশল অবলম্বন করে অবস্হান করছে। আবার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভাদিতলায় সাম্প্রতিক সময়ে আসা ২/৩ শতাধিক রোহিঙ্গা স্হান নিয়েছে বলে জানান এলাকার হতদরিদ্র শফি আলম। পাশাপাশি শিয়াপাড়া, দরগাহ পাড়া, হাসিনা পাহাড়, মেহেরঘোনা সহ নানা পাড়া গাঁয়ে অবস্হান নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ। এক চিকিৎসক জানান, রোহিঙ্গাদের কারনে সামাজিক সংকট সহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার আশংকা ও প্রকাশ করেন।
এদিকে ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আলী জানান, এলাকাতে রোহিঙ্গাদের অবস্হানের ফলে মাদকের ছড়াছড়ি, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হওয়ার শংকা প্রকাশ করেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন এখনো সময়ের দাবী।
দেখা যায়, রোহিঙ্গারা নানা পাহাড়ী এলাকায় স্হান নিলেও দিনের বেলায় ভিক্ষা করে পরিবার পরিজনের ভরণ পোষন চালাতে। এলাকার লোকজনের মতে, রোহিঙ্গারা যেভাবে পাড়া মহল্লায় আসতে শুরু করছে, তাতে করে এ এলাকায় ওরা এক সময় বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। আর কোন পরিত্রাণ পাওয়ার মত সুযোগ থাকবেনা বলে ও জানান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরব্বী জানান, মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সহযোগীতা করতে পারি তবে দেশ ও এলাকার ভার্বমূতি নষ্ট করে নয়।
You must be logged in to post a comment.