জীবন-জীবিকার তাগিদে সর্বদা নানাভাবে লড়ছে মানুষ। এই লড়াইয়ে যখন একঘেয়েমি ভর করে ঠিক তখনই অচল যন্ত্র মেরামতের ন্যায় বিনোদনের রথে যাত্রা করে তারা। সে বিনোদনের অন্যতম স্পট কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ডুলাহাজারা এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। নানা বন্ধে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত নগরী কক্সবাজারে ছুটে আসা দেশ-বিদেশী পর্যটকরা সাফারি পার্কেও ঘুরে যাই আলাদা বিনোদন পেতে।
প্রায় দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বিশ্বের নানা স্থান থেকে নিয়ে আসা বিলুপ্তসহ রকমারী পশু-পাখির অভয়ারণ্যে রূপ পেয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃতিগতভাবে গাছ-গাছালি সমৃদ্ধ এই পার্কে প্রাণী নিরাপত্তায় এনক্লোজার ও উন্মুক্ত বেষ্টনি এবং খোলা পার্কে বৈচিত্রময় পশু-পাখি দেখে নতুন অভিজ্ঞতা ও বিনোদন পেতো পর্যটকরা।
বিনোদন পিপাসু পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণে নতুন সংযোজন ঘটানো হয়েছে লেকসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে।
ঘনিয়ে আসা কোরবানির ঈদের বন্ধে ঘুরতে আসা পর্যটকরাই অবলোকন করতে পারবেন পার্কের বাড়তি সংযোজনে বদলে যাওয়ার দৃশ্য। এই পার্কের ভেতরে বাইরে এখন বিনোদন সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। পার্কের ভিতরে বাঘ, সিংহ, হরিণ, সদ্য ছানা ফোটানো ময়ূর, বাচ্চা দেয়া জলহস্তি, ভল্লুক, মিঠা পানির কুমিরের পাশাপাশি সম্প্রতি বংশ বিস্তার করা লবণাক্ত পানির কুমিরসহ কয়েকশত প্রজাতির পশু-পাখি মুগ্ধ করবে পর্যটকদের।
পার্কের প্রবেশের আগে বা পরে ঘুরে ফিরে পর্যটকরা এখন থেকে নতুন বিনোদন পাবেন লেক স্পটে। সাফারি পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পার্ক প্রতিষ্ঠাকালে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া অন্তত ৪ একরের লেকের অদূরে দু’দফায় নির্মাণ করা হয়েছে ৩ ও ১ একর বিশিষ্ট আরো দুটি লেক। পৃথক এ তিনটি লেককে অচিরেই এক সারিতে গেথে বড় লেকে রূপান্তরিত করা হবে।
পার্ক কর্মকর্তা মাজহার চৌধুরী বলেন, গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে নতুন লেক তৈরীর পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে লেকের উপর সেতু, কেন্টিন, পিকনিক স্পট, সেন্ট্রি পোস্ট, সুপ্রিয় জল, টয়লেট ও কার্পেটিং রাস্তা। পার্কে আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য লেকসহ এসব স্থাপনা নির্মাণ করতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সাফারি পার্ককে ঘিরে নতুন সংযোজন ঘটানো বিনোদন স্পটগুলো আরো আধুনিকায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
You must be logged in to post a comment.