সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটা হত্যাকাণ্ডগুলোতে নিজেদের যুক্ত থাকার ‘মিথ্যা দাবি’ করে স্রোতে গাঁ ভাসানোর চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেট(আইএস)। বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক সংবাদে জানানো হয়েছে এ তথ্য। রয়টার্সের সাথে কথোপকথনে শাহরিয়ার আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে দেশীয় জঙ্গিদের যুক্ত থাকার উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্বেও তারা এ দাবি করে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক এবং সিরিয়ায় দখলকৃত স্থান এবং অর্থের উৎস হারিয়েছে ইসলামিক স্টেট। এজন্য তারা লিবিয়া, মিশর এবং বাংলাদেশের ঘাঁটি করে হামলা চালাতে চাচ্ছে।
তবে শাহরিয়ার আলম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতির কোনো আলামত পায়নি কোনো দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থা।
শাহরিয়ার বলেন, এসব হত্যার দাবি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। তবে এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে তা ভুল বার্তা প্রেরণ করে তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে কোনো তর্কে যাব না।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক ডেলিগেটের কথা বলার পরই এমন মন্তব্য করলেন শাহরিয়ার আলম।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার এ দেশটিতে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে যার মধ্যে পাঁচজন নাস্তিক ব্লগার এবং দুইজন সমকামী অধিকারকর্মী।
এরমধ্যে কিছু হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদা এবং ১৭টি হত্যার দায় স্বীকার করছে ইসলামিক স্টেট।
হত্যার দায় স্বীকারের বিষয়টিকে স্রোতের তালে গাঁ ভাসানো বলে মন্তব্য করেছেন শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, সিরিয়ায় আইএস এবং আল-কায়েদার কার্যক্রম থেকে আমরা দেখেছি যে কোনো ঘটনায় দুইটি গ্রুপের উপস্থিতি একসাথে থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডগুলোতে অনেক হত্যার দায় ইসলামিক স্টেটের পাশাপাশি আল-কায়েদাও স্বীকার করেছে।
সরকার বলেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে ইসলামিক স্টেট এবং জামায়াতুল-মুজাহিদিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামী চরমপন্থীরা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে কি-না। অধিক বেকারত্ব এবং অশিক্ষার কারণে বাংলাদেশ অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি তৈরি করতে পারেনি।
সূত্র:priyo.com
You must be logged in to post a comment.