অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে সারা বছর ১০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণে আসেন। কিন্তু পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতার কারণে এগুতে পারছেনা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। কাজে লাগানো যাচ্ছে না পর্যটনের দর্শনীয় স্থান গুলোকে। এমনই অভিযোগ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। তাদের দাবী ক্ষুদ্র ও বড় উদ্যোক্তাদের সমন্বয় করে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে এগিয়ে যাবে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প।
এদিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট-হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, একশো বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মাত্র তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার অংশকে পর্যটনের কাজে ব্যবহৃত হলেও। বিশাল একটি অংশ রয়ে গেছে পর্যটন শিল্পের বাইরে। ফলে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। পর্যটকরা মাত্র ৭টি পয়েন্টে সমুদ্রে অবগাহন করতে পারে। আর সৈকতের বাকি অংশ এখনো অব্যবহৃত পড়ে আছে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, কক্সবাজারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট দ্বীপ গুলো রয়েছে সম্পূর্ণ উন্নয়নের বাইরে। দ্বীপ গুলোতে নেই পর্যটকদের পর্যাপ্ত থাকার ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থাও অপ্রতুল। ক্ষেত্র বিশেষে হয়রানীর স্বীকার হতে হয় পর্যটকদের।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সাথে সমন্বয় করা গেলে, পুরো সৈকতের চিত্রই পাল্টে দেয়া সম্ভব। মরিসাস কিংবা পাতায়া বীচ কেও হার মানাতে পারে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে যদি পরিকল্পনা নেয়া যায় তাহলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট-হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান।
তবে কক্সবাজার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহার দাবি, পুরো সমুদ্র সৈকত ও দ্বীপগুলোতে যাতে পর্যটনের বিকাশ ঘটে সে লক্ষে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, সারা বছর কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটক ভ্রমণে আসেন।
You must be logged in to post a comment.