গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সাগর ও নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে টেকনাফে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজার আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ মহেষখালীয়পাড়া পয়েন্টে শনাতন ধর্মাম্বলীসহ শত শত লোকজনের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিষ্ণু মন্দির ও ডেইল পাড়া দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই সময়ে উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া শামলাপুর পয়েন্টে বাহারছড়া বিষ্ণু মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
অপরদিকে হ্নীলা নাটমুরা পাড়া হরি মন্দির ও হ্নীলা পুরান বাজার কালী মন্দিরের প্রতিমাও পাশ্ববর্তী নাফনদীতে একযোগে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের সময় সাগর ও নদীর পাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ব্যাপক উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই সময় টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাইন উদ্দীন খানসহ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধা থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়। পরে সপ্তমী, মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং মহানবমী ও বিজয়া দশমী শেষে শনিবারে সাগর ও নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এবারে টেকনাফে কেন্দ্রীয় বিষ্ণু মন্দির ও ডেইল পাড়া দূর্গা মন্দির, হ্নীলা পুরান বাজার কালী মন্দির, নাঠমুরা পাড়া হরি মন্দির, বাহারছড়া শামলাপুর বিষ্ণু মন্দিরের পূজা মন্ডপে প্রতিমায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শিব পদ ভট্টাচার্য জানান, টেকনাফে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্টানিকতা শেষে সাগর ও নদীতে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পুজার কার্যক্রম ও বির্সজন এবং সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখায় স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্থরের জনসাধারনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.