কক্সবাজার সৈকতে ছিনতাইকারী চক্রের ছুরিকাঘাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে সৈকতের হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের সামনে এঘটনা ঘটেছে। সকাল ৭টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারীকে আটকও করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, ২৩ জুলাই সকালে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট মোড়ে ৪-৫ জন ছিনতাইকারী মোঃ জাকির হোসেন নামে এক পর্যটকের গতিরোধ করে নগদ টাকা ও মূল্যবান সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়। লুন্ঠিত মালামাল নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর সময় পর্যটকের চিৎকারে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা এগিয়ে আসে। ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে এক ছিনতাইকারীকে হাতে নাতে আটক করার চেষ্টা করলে ছিনতাকারী চক্র ট্যুরিস্ট পুলিশ কনষ্টেবল পারভেজ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
সকাল ৭টায় মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের সামনে পড়ে থাকা পুলিশ কনষ্টেবলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। নিহত মোঃ পারভেজ হোসেন (২৭), (কনষ্টেবল নং-২৩৬) কুমিল্লা জেলার ইন্দ্রাবতি বুড়িচং এলাকার বশির আহম্মদ এর ছেলে। ১০ মাস ধরে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সৈকত ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরো জানান, এর আগে দুই ছিনতাকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে, কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু তাহের (২৮), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে আবদুল মালেক (২৪) এবং অপর দুইজনের নাম জানা যায়নি। এঘটনায় আরো কারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি নওরোজ হোসেন তালুকদার জানান, ছিনতাইকারী আবু তাহেরের কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে থাকা অন্যান্য ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেছে। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটন মোঃ জাকির হোসেন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের লাশ তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।