সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / উখিয়ার পশুর বাজারে শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ধুম

উখিয়ার পশুর বাজারে শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ধুম

উখিয়ার পশুর বাজারে শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ধুম

উখিয়ার পশুর বাজারে শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ধুম

নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া:

অধিকতর হত দরিদ্র অধ্যুষিত জনপদের অসংখ্য গরিব জনসাধারণ এবার কোরবানিতে শরিক হচ্ছে। ৩/৪ হাজার টাকায় কোরবানি দিতে সক্ষম পরিবারগুলো ২১ থেকে ২৮ হাজার টাকার ভিতরে গরু ক্রয় করছে। তাই ছোট গরুর কদর যেমন বেড়েছে, তেমনি বিক্রি হচ্ছে ছোট সাইজের কোরবানির পশু। দর উঠানামা করার সম্ভাবনা অধিকাংশ পরিবার এতদিন পশু ক্রয় করেনি। তাই শেষ মুহুর্তে পশু ক্রয়ের জন্য কোরবানির বাজারে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপস্থিত হয়েছে অসংখ্য ক্রেতা সাধারণ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর দাম আগের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে চলে আসার কারণে পশুর বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা গ্রামের মুহাম্মদ নুরুল হক ২৭ হাজার টাকার একটি গরু ক্রয় করেছে। তিনি জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ছোট সাইজের গরুর দিকে ঝুকেছে। যেহেতু ৩/৪ হাজার টাকার ভিতরে কোরবানিতে শরিক হতে পারছে। এভাবে অসংখ্য লোকজন ছোট গরুর দিকে ঝুকে পড়ার কারণে বাজারে ছোট গরুর কদর অনেকটায় বেড়েছে। গরু ব্যবসায়ী সালামত উল্লাহ জানান, এবার পশুর বাজারে যে সমস্ত গরু বিক্রি হচ্ছে তা সর্বনিম্ন মণ প্রতি গড়ে ১৬ হাজার টাকা পড়তে পারে। এর আগে যে সমস্ত গরু বিক্রি হয়েছে তা মণ প্রতি ১৮/২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়েছে। সে অনুপাতে গত ৩ দিন ধরে গরুর দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।

বাজারের একাধিক গরু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য সময়ের মতো এবারের কোরবানির পশুর বাজারে ভারত ও মিয়ানমারের গরু না আসার কারণে স্থানীয় কৃষকেরা গরু বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে গরু লালন পালনে কৃষকেরা উৎসাহিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়াকড়ি আরোপ থাকায় বিগত সময়ের মতো এবারের কোরবানির পশুর বাজারে কোন প্রকার চাাঁদাবাজি বা হয়রানির শিকার কাউকে হতে হয়নি। গরু বিক্রেতারা গরু বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরেছে। বাজার ইজারাদার মোক্তার আহমদ জানান, সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের ধারাবাহিকতা অবলম্বন করে গরু, ছাগল, মহিষ বিক্রির টোল আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়াও টোল আদায়ের নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানান, ব্যবসায়িরা যাতে স্বাচ্ছন্দে গরু বিক্রি করতে পারে এবং বিক্রেতারা যাতে নিসন্দেহে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/