শহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :
৬ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী বইমেলার শেষ দিন। আয়োজকরা বলছেন, এবারের মেলা অত্যন্ত সফল। দর্শণার্থী এবং ক্রেতা উভয়ই তাঁদের সন্তুষ্ট করেছে। ৫ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ব-পত্নীক মেলা প্রাঙ্গনে যান জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছে তিনি কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং মেলার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এরপর মেলা প্রাঙ্গনে প্রবীণ সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, ফজলুল কাদের চৌধুরী, তোফায়েল আহমদ ও মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব তাপস রক্ষিতের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন।
মেলা পরিদর্শন ও আড্ডার সময় জেলা প্রশাসক, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি অডিট ক্যাডার সার্ভিসের পদস্থ কর্মকর্তা সেলিনা রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.আনোয়ারুল নাসের, এনডিসি এবিএম এহছানুল মামুন, সহকারি কমিশনার ফাহমিদা মোস্তফা, সহকারি কমিশনার আবু বকর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেলা বাস্তবায়ন কমিটির পরিচালক শিহাব উদ্দিন ভূইয়া বলেন, কক্সবাজার জেলায় সুজনশীল পাঠক আছেন। আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে এসেও মানুষ বইকে ভুলে যাননি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানান তিনি।
গত কয়েকদিন মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের মেলায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে বইপ্রেমীরা মেলায় আসছেন। বিকেলের দিকে মেলা প্রাঙ্গনে আসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে আসেন যুবক ও মধ্যবয়সী লোকজন। এই তালিকায় নারীরাও রয়েছেন। সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা মেলা প্রাঙ্গনে আসেন। কিনে দেন সন্তানের পছন্দের বই। মেলা প্রাঙ্গনেই রাখা হয়েছে কবি, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের জন্য একটি স্থান। যেখানেই স্থানীয়, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা আড্ডা দেন প্রতিদিন।
এবারের বইমেলায় শুধু কক্সবাজার শহরের মানুষ নন। উপজেলা থেকেও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বইয়ের টানে ছুটে আসছেন। পাঠকদের পছন্দের তালিকাতেও এসেছে পরিবর্তন। রাশভারি লেখকের বইয়ের তুলনায় সহজে আত্মস্থ করার দিকেই এখন তাঁদের নজর। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের আগ্রহ বিজ্ঞান ভিত্তিক বইয়ের দিকে। তরুণ তরুণীরা কিনছেন উপন্যাস আর কাব্যগ্রন্থ। প্রবীনরা ছুটছেন ইতিহাসের সন্ধানে। এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল বাংলা একাডেমির স্টল। প্রতিষ্ঠানটির অনেক বই কক্সবাজারে পাওয়া যায়। যেগুলো সব বয়সের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয়। চলতি বছরের মেলায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত নতুন গ্রন্থের মধ্যে ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’ নিয়ে আসা হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই বইটির সব কপি বিক্রি হয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.