রফিক মাহামুদ
আমি কোন দিন পুলিশের পক্ষে লিখিনি বা লিখতেও চাইনা। সভাবত পুলিশ এবং সাংবাদিকদের আমি বন্ধুও ভাবিনা। কারণ পুলিশ যত বন্ধু হউক বা আপন হউক অপারাধ করলে পুলিশের কাছ থেকে শাস্তি পেতেই হবে। ধরেন পুলিশের এক ভাই ভূলবসত খুন করেছে তাকেও কিন্তু আর এক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার করতে বা শাস্তি দিতে বাধ্য হয়। তেমনি ভাবে সাংবাদিকরাও একই পথের প্রতিক কারণ যত আপনজন হউক অপরাধ কিংবা সমাজের ঘটে যাওয়া সচরাচর সব ঘটনা তোলে ধরা একজন পেশাদার সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ববোধ বলে আমি মনে করি। তাই কোন দিন পুলিশ আর সাংবাদিককে আমি বন্ধু হিসাবে নিতে পারিনা। তবে তারা প্রতি মুহুর্তের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ্য ব্যক্তি বটে।
সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ রয়েছে। যা রাষ্ট্রের অন্য একজন নাগরীকেরর চেয়ে আলাদা।
এখন সহজ প্রশ্ন হল? একজন পুলিশ সদস্য অথবা সর্বোচ্চ পযার্য়ের কর্তা ব্যক্তিরা আধো সে দায়িত্ব পালনে কত টুকু আন্তরিক? তারা রাষ্ট্রের নাগরীকদের কত বা কি পরিমান সেবা দিতে পেরেছে? নাকি সেবা দিতে পারছেনা? নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কর্মকান্ডে কতটুকু সফল। যদিও অনেক পুলিশ অফিসার নিজের দায়িত্ব, কর্তব্যের প্রতি খুবই অান্তরিক। আবার অনেকের বদনামেরও শেষ নেই।
আমি হলফ করে বলতে পারি প্রত্যক পুলিশ রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে শত ভাগ সফল নয়। আবার বিফলও বলা যাবেনা। কারণ কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের মত অনেক সত্ এবং গর্বিত পুলিশ কর্মকর্তা এখনো দেশের আনাছে-কানাছে রয়েছে। যা রাষ্ট্রের পুলিশি সেবাকে জনগণের দ্বোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার বা রাষ্ট্র নামক যন্ত্র তাদের কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছে বা করছে। ঠিক সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে তাদের মূল্যায়নও দেখতে পায় মাঝে মধ্যে।
শুনেছি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় ৭০ জন কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পদোন্নতি পাওয়াদের মধ্যে কক্সবাজারের সাবেক সফল ও জনপ্রিয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার রয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব সাহসী কর্মকর্তা বাবুল আকতার নাম শুনলেই চিনে সবাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত রয়েছে। তার সাথে ঘটনাচক্রে একদিন পরিচয় হয় কক্সবাজার মডেল থানার একটি কক্ষে। দেখে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। সে যে একজন পুলিশ অফিসার কিংবা সেই বাবুল অাকতার, হালকা পাতলা দেহের মানুষ, সত্যিই সাহসী পুরুষ আর বিছক্ষণ কর্তা বললে ভূল হবেনা। সে তখন থেকে তার সাথে আমার পরিচয় মাঝে মাঝে শহরের বায়তুল মোকারম-থানা রোড়ে দেখা হলে ছোট ভাইয়ের মত পাশে বসিয়ে চাপান করিয়ে দিত। বেশি কথা বলতেন না তবে মিষ্টি ভাষির লোক। চাল-চলনে নেই কোন অহংকার, সাধারণ একজন মানুষ যাকে বলে। সভাব চরিত্রের তুলনা হয়না। দিনে দিনে সুনাম আর মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে শুরু করলেন তিনি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল বাবুল আকতারের সাহসীকতা, সততা ও নিয়ম নীতি আদর্শের কথা। পুলিশি সেবা পৌছে দিতে থাকলেন মানব সমাজের মাঝে। ঠিক তখনেই চলে গেলেন কক্সবাজার ছেড়ে। যেহেতু পুলিশের চাকরি বলে কথা ! কিছুদিন এখানে আর কিছু দিন ওইখানে। তবে থেমে নেই তার দক্ষতা আর মনবিকতা সেবা। এরই মধ্যে কুড়িয়ে নীলেন রাষ্ট্র ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান ও তার সম্মান স্বারক। পেলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সম্মাননা পুরষ্কারও। দেশে বাবুল আকতারের মত জনবান্ধব পুলিশ অফিসার সৃষ্টি হলেই পুলিশি সেবা পৌছে যাবে জনগণের দ্বোরগোড়ায়। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে পুলিশি সেবাই।
লেখক : সাংবাদিক ও এনজিও কর্মী।
You must be logged in to post a comment.