কামাল শিশির; রামু :
দীর্ঘ ২৫ দিন হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা লাকিংমে চাকমার লাশ অবশেষে পিতা লালা অং চাকমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে ৪ জানুয়ারি (সোমবার), বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশটি হস্তান্তর করে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। এসময় র্যাব-১৫ এর উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অঞ্জন চৌধুরী, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ জানুয়ারি আদালতে করা মামলায় লাকিংমে চাকমার বাবা লালা অং চাকমা অভিযোগ করেন, সপ্তমশ্রেণী পড়ুয়া তার মেয়েকে অপহরণ করেছে টেকনাফের আতাউল্লাহ।
আতাউল্লাহ নামে ওই যুবক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে লাকিংমেকে। পরে এফিডেভিট করে তার নাম রাখা হয় হালিমাতুস সাদিয়া। দীর্ঘ এক বছর সংসার জীবনে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে সে গত ১০ ডিসেম্বর সে বিষপান করে। পরে লাকিংমেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর পর লাশ নিতে আবেদন করে স্বামী ও পিতা। লাকিংমে চাকমা বিয়ের আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে মর্মে স্বামী আতাউল্লাহ তাকে ইসলাম ধর্মীয় রীতিতে দাফনের আবেদন করেন এবং সেই দাবি নাকচ করে পিতাও লাশ দাবি করেন। এর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত তদন্তের জন্য র্যাবকে দায়িত্ব দেয়।
র্যাব-১৫ এর উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তবে লাকিংমে চাকমা অপ্রাপ্ত বয়স্ক এটি প্রমাণিত হয়েছে। সে মোতাবেক লাশটি মাতা-পিতার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত চলছে। লাশের ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তখন চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
আইনি জটিলতার পরও অন্তত লাশটি পেয়ে প্রশাসন ও গণমাধ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে লাকিংমে চাকমার বাবাসহ স্বজনেরা।
You must be logged in to post a comment.