সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জেলাব্যাপী কুঠির শিল্প বিলুপ্তির পথে : প্লাষ্টিক শিল্পের কদর বাড়ছে

জেলাব্যাপী কুঠির শিল্প বিলুপ্তির পথে : প্লাষ্টিক শিল্পের কদর বাড়ছে

জেলাব্যাপী কুঠির শিল্প বিলুপ্তির পথে : প্লাষ্টিক শিল্পের কদর বাড়ছে

জেলাব্যাপী কুঠির শিল্প বিলুপ্তির পথে : প্লাষ্টিক শিল্পের কদর বাড়ছে

এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :

জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কুঠির শিল্প বিলুপ্তির পথে, প্লাষ্টির শিল্পের প্রতি কদর বাড়ছে গ্রামাঞ্চলের লোকজনের। তার পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের তৈরি কুঠির শিল্প জাতীয় দ্রব্য হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। বাজারে হরেক রকম কোম্পানীর প্লাষ্টিকের জিনিসপত্রের কদর বাড়ায় ও প্রয়োজনীয় পূঁজির অভাবে বাঁশ ও বেতের তৈরি কুঠির শিল্পের কারিগরদের মাঝে চলছে দুর্দিন। কিন্তু কালের আবর্তে কুঠির শিল্প সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকা, বাঁশ ও বেতের চড়া দাম, ঋণের ভার ও দাদন তাদের অন্যরকম ব্যাথা হয়ে দাড়িয়েছে।

জানা যায়, জেলার আট উপজেলা তথা পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাঁশ ও বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বহু পরিবার কোন রকম বাঁচার তাগিদে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিতে দেখা যায়। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বহু পুরাতন আমলের লোকজন বাঁশ ও বেত শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে প্রয়োজনীয় ঋণ, পূঁজি ও তাদের ন্যায্য মজুরী কম থাকার ফলে তারা নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত। এমনকি গ্রাম থেকে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প ক্রমশঃ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেক শ্রমিক বলতে গেলে প্রায়ই বেকার জীবন যাপন করছে। গ্রামের ঘরে এখন আর এগুলো পূর্বের ন্যায় চোখে পড়ে না। অথচ একদিন গ্রাম ছাড়া বাঁশ আর বেতের জিনিস কিংবা এসব ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিন ছিল। ঠিক এ কুঠির শিল্পকে পেছনে ফেলে বর্তমানে আধুনিক কিংবা ডিজিটাল যুগে সভ্যতার ক্রমবিকাশ পরিবর্তনের ফলে প্লাষ্টিক শিল্পের কদর এবং জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। এখন অজপাড়াগায়ের লোকজনও বাঁশ ও বেতের নির্মাণাধীন কুঠির শিল্পের প্রতি বিমুখ হয়ে প্লাষ্টিক শিল্পের দিকে নজর দিচ্ছে। দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের যুগে আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিয়ে জেলার প্রত্যন্ত উপজেলার লোকজন আজ প্লাষ্টিক শিল্পের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। পূর্বে গ্রামের লোকজন শীতের সকালে মিষ্টি রোধে ৬/৭ জন একত্রিত হয়ে বাঁশ ও বেতের সাহায্যে তৈরি করত নানা রকম ব্যবহার্য সামগ্রী। এমনকি জীবিকা উপার্জনের অন্যতম পথ ছিল বাঁশ ও বেত। পূর্বে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে এক সময় ব্যাপক বাঁশের চাষ করা হত। জলাশয় কিংবা পুকুর পাড়ে জন্ম নিত বেত। আজ কালের আবর্তে সেই পুরনো আমলের বাঁশ ও বেতের বাগান বিলীন হতে চলছে। সে সাথে কারিগরেরাও মাথায় হাত দিয়েছে। পূর্বে গ্রামের নারী-পুরুষ তাদের নিপুঁণ হাতের তৈরি ক‚লা, চাটাই, হাঁস-মুরগীর খাচা, ঢাকনা, চালনি, মুড়া বেতের ধামা, পাতিল, চেয়ার, টেবিল, দোলনা, পাখা, বই রাখার রেক, ডালা, ঝুড়ি ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় শিল্প সামগ্রী জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার বাজারেও বিক্রি করা হতো। বর্তমানে এসব কিছু হারিয়ে ডিজিটাল যুগের লোকজন প্লাষ্টিক পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এতে করে জেলা থেকে একের পর এক বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/