সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে স্মার্ট মোজা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে স্মার্ট মোজা

diabetic

বিশ্বজুড়েই এখন ডায়াবেটিস রোগী বেড়ে গেছে। ফলে এই রোগটি নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে প্রচুর।

শুধু আমেরিকাতেই আছে প্রায় তিন কোটি ডায়াবেটিস রোগী। তাই এতো বড় জনসাধারণের সমস্যা নিশ্চয়ই অবহেলার যোগ্য নয়। সে কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের নানাভাবে সুরক্ষা দিতে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে যেমন এই কাজটি করে যাচ্ছে বারডেম।

আমেরিকান প্রতিষ্ঠান সাইরেন কেয়ার এবার ডায়াবেটিস রোগীদের সুরক্ষা দিতে বানিয়েছে স্মার্ট মোজা। এই মোজা পরলে রোগীর পায়ের তাপমাত্রা পরিমাপ করে তার রিডিং রাখা হয়। কেননা ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই পায়ে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যায় ভুগেন। কারো কারো পায়ে পানি জমে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের যেকোনো রোগ আগে থেকে চিহ্নিত করা জরুরি। এতে করে তাদের সঠিক এবং সুচিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

তাই স্মার্ট মোজার কাজ হচ্ছে নিয়মিতভাবে পায়ের তাপমাত্রার রিডিং নেয়া। আর সেই রিডিং আপনার স্মার্টফোনে একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা। যদি কখনো আপনার পায়ের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম মনে হয় তখন এটা আপনাকে সতর্ক করে দেবে। এবং আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের জন্যে বলবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের রোগের মাধ্যমে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। এটা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হতে পারে। কারো কারো পা কেটে ফেলার মতো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাই সাইরেন কেয়ার আগে থেকেই আপনার পায়ের সমস্যার জন্যে সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তবে এ ধরনের পরিধেয় (ওয়ারেবল ডিভাইস) যন্ত্র ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে এর আগেও বের হয়েছিল। তবে সেগুলো একটু জটিল ছিল। প্রেসার গার্ডিয়ান নামের এক ধরনের বুট বের করেছিল টিলজেস টেকনোলজি। তবে সেটা সব সময় পরে থাকার মতো নয়। সে হিসাবে মোজা প্রায় সব সময় পরে থাকা যায়। এর ফলে আপনার পায়ের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে পরিমাপ করে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

সাইরেন কেয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা র‌্যান মা নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানে ডায়াবেটিস রোগীদের চামড়ার প্রদাহ নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। তিনি সেখানে বসেই চিন্তা করেছেন ডায়াবেটিস রোগীদের কিভাবে এ বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করা যায় এবং এই সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করা যায়।

র‌্যান মা বলেন, ‘সাইরেন কেয়ার আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা পরিমাপের জন্যে কাপড়ের সঙ্গে বেশ কিছু সেন্সর যেমন- ময়েশ্চার সেন্সর, প্রেসার সেন্সর, লাইট সেন্সর এলইডি ইত্যাদি যুক্ত করতে সক্ষম।’ অর্থাৎ এখন থেকে পরিধেয় বস্ত্রের মাধ্যমেই মানুষের চিকিৎসা সম্ভব হবে। সেজন্যে চিকিৎসা বিজ্ঞান উদ্ভাবিত আগের যুগের বড় বড় ডিভাইস বা যন্ত্র শরীরে পরে থাকতে হবে না। বরং চিকিৎসা শাস্ত্র এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে। যাতে করে চিকিৎসা মানুষের কাছে ভীতির কোনো বিষয় না হয়ে দাঁড়ায়। বরং সাধারণ জীবনযাপনের মাধ্যমেই মানুষকে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সূত্র: মো. রায়হান কবির/risingbd.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Election-Sagar-22-4-2024.jpeg

ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জনের মনোনয়ন দাখিল

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের তফশিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/