মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি দখল করতে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। এসময় জমির মালিক বা স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধ ঠেকাতে ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে তারা। ঘন্টাব্যাপী সশস্ত্র মহড়ার সময় আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দরা। অন্যদিকে, মৎস্য ঘেরে লবণ পানি প্রবেশ করানোয় নিকটস্থ জমির ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ড হয় বলেও পুলিশ জানায়।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুলতান আহমদ চৌধুরী, নজির আহমদ, ফরোক আহমদ চৌধুরী ও একই এলাকার শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ওহিদুল আলম চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী’র মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে অন্তত ৫০ বছর ধরে। এ বিরোধের জেরে আদালতে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে ওই বিরোধীয় জমি সুলতান আহমদ চৌধুরী, নজির আহমদ, ফরোক আহমদ চৌধুরীদের দখলে রয়েছে।
এদিকে ওই বিরোধীয় জমি দখল নিতে প্রতিপক্ষরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভাড়া করে। এই সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার দুপুরে ১ টার দিকে থানার ৫ কিলোমিটার অদূরে সশস্ত্র মহড়া ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এসময় ২০-২৫জন সন্ত্রাসী ত্রাস সৃষ্টি করলেও তাৎক্ষণিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীরা বিরোধীয় জমির চিংড়ি ঘেরের টংঘর ভাংচুর ও বাঁধ কেটে ২০লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি পোনা ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে বিরোধীয় জমির মালিক ফকরুল ইসলাম চৌধুরী ও আব্দু রহিম বলেন, আমাদের বৈধ মালিকানাধীন জমিতে সন্ত্রাসী তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা আতংকিত। আমরা এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এলাকাবাসীর উদ্বৃতি দিয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, মাছ চাষ করতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করানোই ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিবাদ করলে বাকবিতান্ডা হয়। অস্ত্রের মহড়া ও গুলিবর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কেউ বলেনি। ওই ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিবেশ শান্ত আছে।
You must be logged in to post a comment.