বিয়ে মানেই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান, রীতিনীতি আর মজা। যে কোনও নারী এবং পুরুষের জীবনে বিয়েটা অত্যন্ত স্মরণীয় একটি দিন। এই দিনটির গুরুত্ব সবার কাছেই সমান। বিয়ের বিশেষ দিনটি নিয়ে আমাদের নানা শখ আহ্লাদ থাকে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে সারাজীবনে মনে রাখার মত আনন্দের এক উপলক্ষ্য হচ্ছে দুটি মানুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটা। যেই দেশই হোক না কেন, যে কোনও গোষ্ঠী কিংবা ধর্ম, প্রত্যেকে সমাজেই বিয়ে নিয়ে আছে নানা রকম ভিন্ন ভিন্ন প্রথা। একজনের কাছে যা মনে হতে পারে আজব, অন্যের কাছে হয়তো সেটাই সব চাইতে জরুরি ব্যাপার। কিন্তু এসব রীতিনীতির মধ্যে এমন অনেক আচার রীতি আছে যা শুনলে চমকে উঠবেন।
ব্ল্যাকেনিং:
এটি স্কটল্যান্ডের বিয়ে সংক্রান্ত ঐতিহ্য এক প্রথা। ডিম, গুড়, শৈবাল, যব এবং পালক বা চুল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়। তারপর অতিথিরা সেই মিশ্রণটি হবু বউ ও বরের গায়ে ঢালে।
কান্নার অনুষ্ঠান:
চীনা সম্প্রদায়ের মধ্যে এই আচারটি প্রচলিত আছে। হবু বউকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে কাঁদতে হবে। এক সপ্তাহ পরে কনের মা কান্না অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর সমস্ত নারী অতিথিরা এই কান্না অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একটা বিশেষ তালে এই কান্না করতে হয়।
মল-মূত্রে নিষেধাজ্ঞা:
উত্তর বার্নিওতে তাইডং সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা রীতি প্রচলিত আছে। সদ্য বিবাহিত বর এবং বউ বিয়ের পর কয়েকদিন শৌচাগারে যেতে পারে না।
কিসিং পার্টি:
নামেই বোঝা যাচ্ছে বিষয়টা। সুইডেনে এই রীতিটি মানা হয়। বর বা বউ যখনই বাথরুমে যাওয়ার জন্য উঠবেন তখন একে অন্যকে চুমু খাবেন এটাই হল রীতি।
ট্র্যাশ পার্টি:
ফ্রান্সে অতিথিদের ফেলা খাবার টয়লেট আকারের বাটিতে করে তা নববিবাহিত বর বউকে দেয়ার নামই হলো ট্র্যাশ পার্টি। আর তা তাদের সবার সামনে খেতে হত। এখন এই রীতির সামান্য পরিবর্তন করে চকোলেট সস দেয়া হয় টয়লেট আকারের পাত্রে।
পাত্র ভাঙা:
জার্মানিতে নবদম্পতিকে অতিথিরা পোর্সেলিনের পাত্র উপহার দেন। পরে নবদম্পতি একসঙ্গে একইসময়ে এই পাত্রগুলো ছুঁড়ে ভেঙে দেয়। জার্মানির মানুষদের বিশ্বাস এই আওয়াজে দুষ্ট শক্তি সরে যায়।
মাসাই মকুস:
কেনিয়ার এই প্রচলনটি ভারি অদ্ভুদ। বউয়ে বাবা মেয়ের মুখে ও বুকে থুতু দেয় আশীর্বাদস্বরূপ।
সূত্র:protikhon.com
You must be logged in to post a comment.